গত বছরের অক্টোবরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভেটেরিনারি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন পাঁচ কর্মকর্তা।তবে এক বছর না পেরোতেই পাঁচ কর্মকর্তা একসঙ্গে সিটি করপোরেশনের চাকরি ছাড়ার জন্য আবেদন করেছেন। তারা সবাই ৪০তম বিসিএসের পশুসম্পদ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর মো. খোকন হোসেন, সেমন্ত কুমার ভৌমিক, হেমায়েত হোসেন, মো. মুসা মিয়া ও আবু তারেক নামে পাঁচজনকে ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের ঢাকা উত্তর সিটির ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর অঞ্চলে পদায়ন করা হয়। ইউনিয়ন থেকে সিটি করপোরেশনে আসা এ অঞ্চলগুলোর জন্য আঞ্চলিক কার্যালয় নেই। ফলে তারা সবাই বসতেন পুরাতন অঞ্চলগুলোর কার্যালয়ে।
এছাড়া, এ নতুন অঞ্চলে নেই কোনও পশু জবাইখানা, নেই পশু-পাখির জন্য কোনও হাসপাতাল। ফলে তাদের করার মতো তেমন কোনও কাজও ছিল না।
ভেটেরিনারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর সিটির পুরনো অঞ্চলে মাত্র দুটি ছোট জবাইখানা আছে। সেখানে দুই জনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া তারা মশক নিধন ও কুকুর দমনের কাজই করতেন।
চাকরি ছাড়ার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা খোকন হোসেন বলেন, ‘তুলনামূলক ভালো সুযোগ পেলে সবাই চলে যাবে। আর সিটি করপোরেশনের কিছু পদ আছে যেগুলোতে ব্লক পোস্ট মানে পদোন্নতি নাই। থাকলেও একটা অনেক বছর পরে হবে। এজন্যই সবাই চলে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি পাঁচজনই থাকতাম, তাহলে একজনের শুধু জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি হতো। আর বাকি সবাই এক জায়গায়ই থেকে যেতো।’
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘চলে গেছে তো আমরা নিয়োগ দেবো। কারও যদি বিসিএস হয়ে যায়, ভালো সুযোগ হয়। তার ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ।'
টাকা খরচ করে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে মেধাবীদের রাখতে না পারার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা লুজার হচ্ছি। কিন্তু আমরা তো মেধার সঙ্গে আপস করে কাউকে নিয়োগ দিতে পারবো না।’
তিনি জানান, চাকরিকে আকর্ষণীয় করার অর্গানোগ্রাম সংশোধন ও সেবার খাত সৃষ্টির জন্য পশু হাসপাতাল ও জবাইখানা নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।