বাংলা ট্রিবিউন কোনও কুসংস্কারে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন পত্রিকাটির প্রকাশক ড. কাজী আনিস আহমেদ। তিনি বলেন, ১৩ সংখ্যাটিকে দুর্ভাগ্যের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভীতিকর বলা হয়। আর আজকের দিনে আমরা আনন্দ করছি। এর মধ্য দিয়ে আসল চরিত্র বের হয়ে এসেছে। পত্রিকাটি প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের কোনও কুসংস্কারের তোয়াক্কা করে না। শুক্রবার (১৩ মে) বাংলা ট্রিবিউনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কাজী আনিস আহমেদ বলেন, আমরা চলি যুক্তির পথে। আলোর পথে। আমাদের নামের মধ্যে বাংলা আছে। বাঙালি সংস্কৃতি, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং যে চেতনায় সে আন্দোলন চালিত হয়েছে, তার উত্তরসূরি হিসেবে আমরা ঐতিহ্য নিয়ে গর্বের সঙ্গে যুক্তির পথে এগিয়ে চলব, এই আশা রাখি। তিনি আরও বলেন, এ পথচলায় সবাই সাহস জোগাবেন, এই কামনা রইল। যে উদ্দীপনা, নিষ্ঠা ও সাহস কর্মীরা দেখিয়েছেন, এতে আমি গর্বিত।
বাংলা ট্রিবিউনে দু’বছর পুর্তি উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কনফারেন্স রুম এখন আনন্দযজ্ঞ। সকাল থেকেই চলমান উদযাপন এখন এসে মিলিছে মূল অনুষ্ঠানে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র (উত্তর) আনিসুল হক কেক কেটে বাংলা ট্রিবিউনের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।
এরপর বাংলা ট্রিবিউন-এর গত দুই বছরের কাজ ও তাদের কাজের পরিবেশ নিয়ে তৈরি করা ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। আমন্ত্রিত অতিথি ও শুভানুধ্যায়ীদের অভিনন্দনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূলপর্ব।
আরও পড়তে পারেন: অভিনন্দনে কৃতজ্ঞচিত্তে ভাসছে বাংলা ট্রিবিউন
এরপর শুভেচ্ছা বার্তায় জেমকন গ্রুপের পরিচালক আমিনা আহমেদ বলেন, বাংলা ট্রিবিউন আমার সন্তানের মতো। সন্তান দুই বছরে পা দিয়েছে। হাঁটি-হাঁটি পা করে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এভাবেই পথ চলুক, শুভ কামনা।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জুলফিকার রাসেল বলেন, সংবাদ প্রকাশ করার বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউন কোনও চাপ বোধ করে না। এমনকি প্রকাশকের চাপ নেই, আমরা কোনও নিউজ প্রকাশ করে সরাই না। আমার যথাযথ সমালোচনা গ্রহণ করি, নিজেদের ভুল কী বুঝতে পারি। আমি বাংলা ট্রিবিউনের সহকর্মীদের নিয়ে হ্যাপি । এভাবেই কাজ করে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, বাংলা ট্রিবিউন বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। সংবাদের গ্রহণযোগ্যতাও বেড়েছে। এটি আরও এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করি।
আরও পড়তে পারেন: বর্তমানের অনলাইন ভবিষ্যতের বাতিঘর
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডা. সামন্তলাল সেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সাংবাদিক প্রণব সাহা, মুক্তিযোদ্ধা আক্কু চৌধুরী, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) মো. আনোয়ার হোসেন, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক, উত্তরা অ্যাপাটমেন্ট প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মুজাফ্ফর উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাশেদা রওনক খানসহ বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত কলামিস্টরা।
এছাড়া, শুভেচ্ছা নিয়ে এসেছেন গ্রামীণফোনের জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা দিতে এসেছেন ডিজিএম মোহাম্মদ হাসান, বাংলালিংকের জনসংযোগ বিভাগের আঙ্কিত সুরেকা, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট রাজীব আহমেদ, বাংলাদেশ এনজিওজ নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকশনের এ এইচএম বজলুর রহমান।
/ওফা/ইউআই/এইচ/এমএনএইচ/