বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লাগার ঘটনায় ১৪ তলার বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের ১০-১৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, ভবনের ১৪ তলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার জিএম মাসুদ বিশ্বাসের কক্ষ। এখান থেকেই শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, কক্ষটির বেশকিছু ফাইল ও কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তবে ফাইলগুলোতে কী ছিল, তা জানা যায়নি। এতে সার্ভারের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুনের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালকের (ঢাকা) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। রাত ১০টা ৩৪ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণরূপে নেভানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৭০ জন কর্মী এখনও বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে কাজ করছেন।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম. এ. মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
/এসআই/আরজে/জেএইচ/