X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঐশীর আপিল শুনানি শেষ, রায় যেকোনও দিন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৭ মে ২০১৭, ১৭:০৯আপডেট : ০৭ মে ২০১৭, ১৭:১৭

 

ঐশী রহমান (ছবি: সংগৃহীত) পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও  মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ঐশীর আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। মামলাটির রায় যেকোনও দিন ঘোষণা করতে পারেন আদালত। রবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম ও নিজামুল হক নিজাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আফজাল এইচ খান ও সুজিত চ্যাটার্জি।

এর আগে ৯ এপ্রিল যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে ঐশীর মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে কথা বলার জন্য তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির এ বিষয়ে বলেন, ‘অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় ঐশীকে দেওয়া বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডের রায় আমরা বহাল রাখার আবেদন করেছি। তার মানসিক অবস্থা নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমরা বলেছি, ঘটনার সময় ও তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় তার মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল।

যদিও এই মামলার আপিল শুনানিকালে ঐশীর আইনজীবী জানান, ঘটনার সময় ঐশী মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল। এর আগে করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া প্রতিবেদনে ঐশীর মানসিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। বিষয়টি ওইদিন আদালতের নজরে আনেন তার আইনজীবীরা। পরে আদালত মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ঐশীকে ১০ এপ্রিল হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত দিনে ঐশী আদালতে হাজির হলে আদালত খাস কামরায় তার আইনজীবীর উপস্থিতিতে ঐশীর সঙ্গে কথা বলেন।

এর আগে পুলিশ দম্পতি হত্যা মামলায় তাদের একমাত্র মেয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের মামলাটির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে যায়। একইসঙ্গে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ঐশী। পরে ১২ মার্চ এই মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজ বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মা-বাবা খুন হওয়ার পর পালিয়ে যান ঐশী।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১৭ আগস্ট নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই বছরের ১৭ আগস্ট ঐশী রহমান রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী।

২০১৪ সালের ৯ মার্চ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের মাতুব্বর আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় কিশোর আইনে সুমির  বিরুদ্ধে এবং দণ্ডবিধিতে ঐশীসহ তিন জনের বিরুদ্ধ  আরেকটি চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সুমির মামলার বিচার কার্যক্রম কিশোর আদালতে পরিচালনা হচ্ছে। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধান আসামি ঐশী রহমানকে ডাবল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ আদালত। অন্য দুই আসামি ঐশীর বন্ধু রনিকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও জনিকে খালাস দেওয়া হয়।

/ইউআই/এমএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি
টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যকে জিআই স্বীকৃতি
১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন বিসমাহ মারুফ 
১৮ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন বিসমাহ মারুফ 
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার মৃত্যুদণ্ড
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতার মৃত্যুদণ্ড
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কা সিইসির
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না