স্মার্ট ও ক্ষমতাধর কোনও গোষ্ঠী গুমের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে রাজনৈতিককর্মী ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘সবাই জানছে, কারা গুমের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু রাষ্ট্র এর প্রতিরোধে কী করছে? রাষ্ট্রের কাজ কী? তারা কেন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না? দেশে যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে, তখন এই ধ্বংসলীলা থেকে কে রেহাই দেবে? সেই দায়িত্ব তো রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্রই নীরব। ফলে আমরা যত আলোচনাই করি না কেন, এতে কোনও কাজ হবে না। রাষ্ট্রের কাজ রাষ্ট্র না করলে কোনও লাভ হবে না।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে বাংলা ট্রিবিউন আয়োজিত ‘গুম’ শীর্ষক বৈঠকিতে রাজনৈতিককর্মী ফিরোজ আহমেদ এসব কথা বলেন।
বৈঠকিতে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, গুম নিয়ে পত্রিকায় যতটুকু খবর আসে, পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ। এখানে আমরা আজ আলোচনা করছি। তবে কেউ কিন্তু কোনও গ্রুপের নাম বলতে পারিনি। এখানেও একটি সেন্সরশিপ কাজ করছে।’
ফিরোজ আহমেদ আরও বলেন, ‘সম্প্রতি অনিরুদ্ধ ফিরে এসে একটি লিখিত জবানবন্দি দিয়েছেন। বলা হচ্ছে, অনিরুদ্ধের জবানবন্দি থেকেও অনেক কিছু তদন্ত করা যেতে পারে। কিন্তু তার জবানবন্দি দিয়ে কতটুকুই বা এগোনো যাবে। জবানবন্দি নিয়ে তদন্ত করার পর তার গ্রহণযোগ্যতা আর কতটুকুই বা থাকবে?’
মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিতে আরও অংশ নেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) এনামুল হক, মানবাধিকারকর্মী ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক নূর খান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ডিবিসি’র সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু ও বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন উর রশীদ।
রাজধানীর শুক্রাবাদে বাংলা ট্রিবিউন স্টুডিও থেকে বৈঠকিটি সরাসরি সম্প্রচার করে এটিএন নিউজ। পাশাপাশি বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটেও লাইভ দেখানো হয় বৈঠকি।
আরও পড়ুন-
‘গুম’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকি শুরু
‘রাজনৈতিকভাবে দ্বিমত পোষণকারী লোকই গুম হয়’
যারা গুম করে তারা খুবই প্রশিক্ষিত: হারুন উর রশীদ