রাজধানীর কলেজ গেট এলাকায় প্রাইভেট কারে ‘ধর্ষণচেষ্টার’ শিকার দুই তরুণীকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শনিবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর ওই দুই তরুণীর সন্ধান পায় পুলিশ। রবিবার (১০ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে তরুণীদের থানায় নেওয়া হয় বলে জানান শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল গণেশ বিশ্বাস।
শেরেবাংলা থানার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শনিবার গভীর রাতে দুই তরুণীকে সংসদ ভবন সংলগ্ন খেজুরবাগান এলাকা থেকে চুক্তির মাধ্যমে গাড়িতে তুলেছিলেন আটক মাহমুদুল হক রনি ও তার ড্রাইভার ফারুক। কিছু সময় ঘোরাঘুরির পর একজনকে কলেজ গেট এলাকায় নামিয়ে দেওয়া হলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এতে আশপাশের লোকজন প্রাইভেট কারটি আটকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রনি ও ফারুককে গণপিটুনি দেয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পাশের মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ রনিকে আটক করে। তবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন চালক ফারুক। এরপর শেরেবাংলা নগর থানায় রনিকে হস্তান্তর করা হয়। এরমধ্যেই গণপিটুনির একটি ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে।
ওসি গোপাল গণেশ বিশ্বাস বলেন, ‘ধর্ষণচেষ্টা বা এই অভিযোগে গণপিটুনির বিষয়টি আমরা প্রথমে বুঝতে পারিনি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা বিষয়টা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন ওই দুই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করছি।’ রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি বলে জানান থানার ওসি। তিনি বলেন, ‘ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলা হচ্ছে। তারা মামলা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’