স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জানিয়েছেন, করোনাতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চার জন মারা গেছেন। এর ঠিক দুই ঘণ্টা পর স্বাস্থ্য অধিদফতর কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা তিন। দুই ঘণ্টার ব্যবধানে একই মন্ত্রণালয়ের দুই রকমের তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
কোন তথ্যটি সঠিক? জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বক্তৃতা দেওয়ার সময় মন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন। আসলে নাম নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। পরে দেখা গেলো, দুটি নাম। নামের বানানে একটু সমস্যা ছিল এবং একটা শব্দ কম ছিল। তখন তারা মনে করেছিল এটি বোধহয় দুজনের নাম। এখন সেটি ভেরিফাই করে দেখা গেল, তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, চার জন নয়।’
এ বিষয়ে অধ্যাপক আজাদ আরও বলেন, ‘তিনি তো আসলে একটা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। একটা ক্লোজড মিটিংয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন। যেকোনও কারণেই হোক সেখানে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ছিলেন এবং সেজন্যই তখন সেটা সেখান থেকে প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু এখন আমরা যে তথ্য বলছি, তা সর্বশেষ। যাচাই-বাছাই শেষে যে তথ্য আমাদের হাতে এসেছে, সেটিই আমরা শেয়ার করছি আপনাদের সঙ্গে। এ নিয়ে আর কোনও বিভ্রান্তির সুযোগ নেই, এটাই সর্বশেষ তথ্য।’
তবে এখানে উল্লেখ যে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বিষয়টির এমন ব্যাখ্যা দিলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সেই অনুষ্ঠানের পর মন্ত্রণালয় থেকে ২টা ০৩ মিনিটে জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতেও চার জনের কথা বলা হয়েছিল। এমনকি তিনি হেলথ মিনিস্ট্রি মিডিয়া উইং নামে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সেটি গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য পাঠিয়েছিলেন।
সকালে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন ২৯ জন শনাক্ত, অধিদফতর বলছে ৩৫ জন শনাক্ত, প্রশ্নে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে তথ্য দিয়েছেন সে মুহূর্ত পর্যন্ত সেটাই সঠিক ছিল। সেখানে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছিল, তার বক্তৃতার অংশ হিসেবে সে সময় পর্যন্ত যে তথ্য তিনি জানতেন তিনি সেটাই বলেছেন। কিন্তু সারা বাংলাদেশে এখন ল্যাবরেটরি সম্প্রসারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা চলছে। ব্রিফিং আসার আগে আমাদের কাছে যে সর্বশেষ তথ্য ছিল সেটা আপনাদের জানিয়েছি।’