লকডাউনে কর্মহীন ৯০ লাখ সড়ক ও নৌ-পরিবহন শ্রমিকের পাশে দাঁড়াতে সড়ক ও নৌ পরিবহনের মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৭০ লাখ সড়ক পরিবহনের চালক-শ্রমিক ও ২০ লাখ নৌ-পরিবহন শ্রমিক গত ২৬ মার্চ দেশে পরিবহন বন্ধ হওয়ার পর থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমাদের দেশের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ সেক্টরে সঠিক বেতন কাঠামো কার্যকর না থাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক দৈনিক মজুরি বা ট্রিপ ভিত্তিক চাকরি করেন। এ অবস্থায় গত ২৬ মার্চ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে। তারা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরিস্থিতির বিবেচনায় তাদের জন্য মানবিক সাহায্যের আবেদন জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দেশে সড়ক ও নৌ যোগাযোগ সেক্টরে দৈনিক গড়ে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি বৈধ-অবৈধ চাঁদা আদায় হয়। এ চাঁদা যেসব খাতে আদায় করা হয় তার মধ্যে আপৎকালীন তহবিলে জমার নামেও শ্রমিকদের থেকে কিছু চাঁদার টাকা নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে আদায় হওয়া এসব চাঁদার টাকা সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মহামারি করোনায় লকডাউনে কর্মহীন শ্রমিকদের সাহায্যে লাগানো হচ্ছে না।
বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও দাবি করেন, দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন সচল রাখতে পরিবহন শ্রমিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্যোগে শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়ালে তারা কর্মহীন বা পেশা পরিবর্তনের সম্ভবনা রয়েছে। যা এই সেক্টর আগামী দিনে সচল করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।