করোনাকালে শ্রমিকদের বেতন, খাদ্য, চিকিৎসাসহ যাবতীয় নিরাপত্তা নিশ্চয়তার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে পাটকল বন্ধ না করার দাবি তাদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এই তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের তরফ থেকে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ করোনার এই সময়ে শ্রমিকদের খাদ্য, চিকিৎসাসহ যাবতীয় কোনও নিশ্চয়তা না দিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তা শ্রমিকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবে। এর আগে খুলনায় ক্রিসেন্ট জুট মিলসহ বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিকদের আন্দোলনের পরও ন্যায্য বেতন ও বকেয়া পরিশোধ না করে মালিকরা একের পর এক তাদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। এখন তাদের অসহায় অবস্থায় ফেলে পাটকল বন্ধ করলে আর বাঁচার উপায় থাকবে না। এই সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত চার বছরে পাটকল শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি বকেয়া পড়েছে প্রায় ১৬১২ কোটি টাকা। দেশের পাট শিল্প, পাটশ্রমিক ও চাষিদের রক্ষায় সরকারের টাকা নেই, অথচ অস্ত্র কিনতে সরকারের টাকার অভাব হয় না। শুধু শ্রমিকের জন্য সরকারের টাকা নেই। এর আগে নিতান্ত জীবন বাঁচানোর দায়ে পাটকলের শ্রমিকদের আমরণ অনশনে নামতে হয়েছিল। তাদের সেই ন্যায্য দাবিও সরকার সুকৌশলে এড়িয়ে গেছে।
বিবৃতিতে দাবি জানিয়ে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে ২৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলে প্রায় ৭০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাদের খাদ্য, চিকিৎসা ও যাবতীয় সামগ্রীর নিশ্চয়তা প্রদান করা সরকারের দায়িত্ব। সেই নিশ্চয়তা প্রদান না করে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাই, অবিলম্বে পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পাটকল শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা, বকেয়া পরিশোধ, খাদ্য-চিকিৎসাসহ যাবতীয় নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।