X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘অনির্দিষ্টকালের জন্য ভার্চুয়াল আদালত চলতে পারে না’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩০ জুন ২০২০, ২০:০৪আপডেট : ৩০ জুন ২০২০, ২০:০৭

অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন

ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা একটি অতি জরুরি বিধান। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য ভার্চুয়াল আদালত চলতে পারে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরায় নিজ বাস ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে সুরক্ষা নীতিমালা মেনে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানিয়েছি। অনির্দিষ্টকালের জন্য ভার্চুয়াল আদালত চলতে পারে না। এটি একটি অতি জরুরি বিধান। এটা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। দেশের বিচার ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক গতিতে চলতে না দিয়ে একদিকে যেমন বিচার প্রার্থী ও অপরদিকে আইনজীবীরা সংকটে পড়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে করোনা মহামারির কারণে গত ২৬  মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর ফলে দেশে বিচার ব্যবস্থায় স্থবিরতা চলে আসে। এই পরিস্থিতিতে গত ১১ মে ভার্চুয়াল কোর্টের বিধান আসে, যার আওতায় আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট আদালতে অনলাইনের মাধ্যমে মামলা দাখিল করার নির্দেশনা পান।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে বিভিন্ন ধরনের মামলা পরিচালনার জন্য বেশ কয়েকটি বেঞ্চ গঠন করা হয়। এই সব বেঞ্চে শুধুমাত্র অতীব জরুরি মামলা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা মহামারির পূর্ব হতে হাইকোর্টের হাজার হাজার মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল এবং প্রতিদিন শত শত নতুন মামলা দায়ের হতো। ফলে আদালতের স্বাভাবিক বিচারকার্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীরা এক নিদারুণ অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়, যা কিনা ইতোমধ্যে চরম আকার ধারণ করেছে।’

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভার্চুয়াল কোর্টের স্বাভাবিক সীমাবদ্ধতার কারণে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে হতাশাব্যঞ্জক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তদুপরি, প্রতিদিন বিশেষ করে শত শত ফৌজদারি মামলাসহ বিভিন্ন মামলা অনলাইনে শুনানির জন্য দাখিল করা হয়। এর কোনও ক্রমিক নম্বর সংশ্লিষ্ট আদালত হতে আইনজীবীদের দেওয়া হয় না।  ফলে মামলা শুনানির ক্ষেত্রে তারা এক অজ্ঞাত পরিস্থিতির শিকার হন। শোনা যায়, মামলা দাখিল করার পর আদালতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসার তালিকা করে বিচারকের কাছে শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন। বিচারক গুরুত্ব অনুযায়ী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সব ক্ষেত্রে কথিত মতে, সংশ্লিষ্ট আদালতে দুর্নীতির এক সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘কেননা, মামলা দাখিলের কোনও ক্রমিক নম্বর না থাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা  সুবিধামতো তালিকা তৈরি করেন। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অর্থ অথবা প্রতিপত্তির কারণে মামলা তালিকায় আসা নির্ভর করে।’

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘ইতোমধ্যে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে অনলাইনে মামলা গ্রহণ করা বন্ধ রয়েছে। ওয়েবসাইটে মামলা দাখিলের নিয়ম থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তার কার্যকারিতা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ভার্চুয়াল কোর্টে আগাম জামিনের কোনও সুযোগ না থাকায় দেশের সর্বত্র প্রতিদিন যে, শত শত মামলা দায়ের হয়, যার বেশীর ভাগই আক্রোশমূলক, সেইসব মামলার আসামিরা গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঘর ছাড়া হয়, নতুবা অনৈতিক পদ্ধতিতে গ্রেফতার না হওয়ার ব্যবস্থা করতে চরম হয়রানির সম্মুখীন হন।’

 

/বিআই/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
ফরিদপুরে দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবিতে খেলাফত মজলিসের মিছিল
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মশা তাড়ানোর ৫ প্রাকৃতিক উপায়
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
মেলা থেকে অস্ত্রের মুখে দুই নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
তীব্র গরমে সিল্কসিটি ট্রেনে আগুন
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি