এই সপ্তাহের একটি ফ্লাইটেই পর্তুগাল যেতে হবে সিলেটের শহীদ আহমেদের। তবে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট। জেলা সিভিল সার্জনের কাছে গেলেও দ্রুত টেস্টের সিরিয়াল পাননি। নিরুপায় হয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে ফোন করে সমস্যা জানান। মন্ত্রী তৎপর হয়ে দ্রুত শহীদের জন্য করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করলেন।
রবিবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এই ঘটনায় মন্ত্রী সিলেট জেলা সিভিল সার্জনকে একটি ধন্যবাদ পত্রও দিয়েছেন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই শহীদ আহমেদ নামের একজন প্রবাসীকর্মী মন্ত্রীকে ফোন করে জানান যে তার পর্তুগাল গমনের ফ্লাইট ২৮ জুলাই। বিদেশে গমনের ক্ষেত্রে তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা জরুরি। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে কিভাবে কোভিড টেস্ট করাবেন এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শহীদ। মন্ত্রী বিষয়টি জানার পর তিনি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাসরীন জাহানকে কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যাপারে শহীদকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, যুগ্মসচিব নাসরীন জাহান সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডলকে শহীদের কোভিড-১৯ টেস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। এরপর ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল টেস্টের ব্যবস্থা করে একদিনের মধ্যেই রিপোর্ট দেন।
পর্তুগালগামী শহীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি আমার সমস্যাটি স্যারকে জানাই। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেন। আমি এর আগেও দুই বার সিভিল সার্জনের কাছে গিয়েছিলাম। উনি বলেছিলেন ১২টার পর হয়ে গেছে আর সময় দেওয়া যাচ্ছে না। আমাকে টিকেট পেছানোর জন্য বলেছিল। যেহেতু সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট যায়, টিকেট পেছালে আমার রেসিডেন্স কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তখন ইউরোপে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে যাবে। সেই জন্য চাচ্ছিলাম সেদিন যদি টেস্ট করে রিপোর্ট দিয়ে দিতো তাহলে আমার জন্য উপকার হতো।’
শহীদ জানান, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে তিনি পর্তুগালে একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগেই দেশে এসে আটকা পড়েন তিনি।
এদিকে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডলের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় মন্ত্রী ইমরান আহমদ তাকে রবিবার (২৬ জুলাই) একটি ধন্যবাদ পত্র পাঠান। ওই পত্রের বিষয়ে ডা. প্রেমানন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় আমাকে ধন্যবাদ পত্র পাঠিয়েছেন এটি একটি স্মরণীয় ঘটনা আমার জন্য।’