X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারবহির্ভূত হত্যার চলমান সংস্কৃতি বন্ধের দাবি আসকের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ আগস্ট ২০২০, ২২:৫৭আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২০, ২৩:০০

আসক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের চলমান সংস্কৃতি বন্ধের দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। বুধবার (৫ আগস্ট) সংগঠনের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের পুলিশ তল্লাশি চৌকিতে ৩১ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলীর গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হন। ডাকাত সন্দেহে তাকে গুলি করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এ ঘটনায় তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটে চলেছে, তারই চিত্র আবারও সামনে নিয়ে এসেছে। দেশে আইনের শাসন এবং বাহিনীগুলোর অভ্যন্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনাসহ এ ধরনের প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানায় আসক।

একইসঙ্গে রাশেদ খানের সঙ্গে যে দু'জন শিক্ষার্থী ছিলেন তাদের হয়রানি না করারও আহবান জানিয়েছে সংগঠনটি। আইন সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে আইন ও সালিশ কেন্দ্র তাদের পাশে থাকবে বলে জানানো হয়।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী নিহতের পরিবারকে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি ৪ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কাজ শুরু করেছে। তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত প্রতিবেদন দেবে এবং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্র মনে করে।

আসক দাবি করে, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যে সংস্কৃতি দীর্ঘদিন ধরে দেশে চলমান রয়েছে, এই ঘটনা তারই অংশ। এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ১৮৪ জন ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’র শিকার হয়েছেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বন্দুকযুদ্ধ নয়, বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ অভিযোগসমূহ খতিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি। স্পর্শকাতর এ অভিযোগসমূহ বারবার মূলত দেশের আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাই প্রকৃত চিত্র তুলে আনার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করার জন্য সরকারকে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

/জেইউ/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
ঢামেক হাসপাতালে কারাবন্দীর মৃত্যু
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত