একটি টেলিভিশনের টকশোতে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুটি মামলা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমকে (সিটিটিসি) তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শামীম আল মামুন বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আদালত দুটি মামলায় পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
রবিবার দুপুরে মামলা দুটি দায়ের করেন মাসিক আল বাইয়্যিনাত ও দৈনিক আল ইহসানের সম্পাদক মুহম্মদ মাহবুব আলম এবং আইনজীবী ইমরুল হাসান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) মুহম্মদ মাহবুব আলমের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ শেখ ওমর শরীফ বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে জিয়াউর রহমানকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, ‘‘সম্প্রতি ডিবিসি নিউজ টেলিভিশন চ্যানেলের ‘উপসংহার’ নামক টকশোতে ধর্মীয় বিভিন্ন প্রত্যয়ের অপব্যাখ্যা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমান। কিন্তু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনও ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রয়েছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘টকশোতে জিয়াউর রহমান ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান করে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ২৯ ধারায় অপরাধ করেছেন।’
নোটিশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে অধ্যাপক জিয়াউর রহমানকে মুসলিম শিশুদের দ্বীনি শিক্ষা বিষয়ে আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের বেআইনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখার অঙ্গীকার জানানোর আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায়, তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।