X
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তারাবি নামাজের অফুরন্ত সওয়াব

মুফতি জাবের কাসেমী
০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০০আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০০

রমজান ইবাদতের মাস, অফুরন্ত সাওয়াব অর্জনের মাস; বিশেষভাবে আল্লাহ নৈকট্য অর্জন করার মাস। বান্দা যেন সহজে নৈকট্য অর্জন করতে পারে সেজন্যে রমজান মাসে দিনে রোজা রাখাকে আল্লাহ তায়ালা ফরজ করেছেন। রাতে এশা’র নামাজের পর বিতরের নামাজের আগে সুন্নতে মুয়াক্কাদা হিসেবে তারাবির নামাজের বিধান দিয়েছেন।

তারাবি একটি সুন্নত বা নফল নামাজ। আভিধানিকভাবে তারাবি-র অর্থ বিশ্রাম নেওয়া ও প্রশান্তি লাভ করা। এটি ‘তারবিহাহ’ শব্দের বহুবচন। 
পরিভাষিকভাবে রমাজান মাসে এশার নামাজের পর বিতরের পূর্বে আদায়কৃত সুন্নাত নামাজ তারাবি নামে পরিচিত। (সিয়াম ও যাকাতের বিধি বিধান)

চার রাকাত আদায়ের পর বিরতির মাধ্যমে যে বিশ্রাম নেওয়া হয় তাকে ‘তারাবিহ’ বলে। তারাবির নামাজের দ্বারা মুমিনের মনে প্রশান্তি আসে বলেই এর নাম তারাবি বা প্রশান্তির নামাজ।

হাদিস শরিফে তারাবির অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে-

১. হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসূল সা. রমজান মাসে রাতে নফল নামাজ পড়ার প্রতি উৎসাহ দিতেন।  রাসূল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রাতে নফল (তারাবি) নামাজ পড়বে, তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।’ (বুখারি শরীফ হাদিস- ২০০৯)

এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায় হযরত মোহাম্মদ (সা.) রমজানের রাতে নফল তথা তারাবির নামাজ নিজেও পড়তেন এবং সাহাবাদেরও তা আদায়ে উৎসাহিত করতেন।

২. হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা.) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা রমজান মাসের রোজা রাখা তোমাদের জন্য ফরজ করেছেন। আর আমি তোমাদের জন্য রমজান মাসব্যাপী আল্লাহর এবাদতে দাঁড়ানো সুন্নাতরূপে চালু করেছি। কাজেই যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ঈমান ও সওয়াবের আশা নিয়ে এ মাসের রোজা রাখবে ও নফল (তারাবির) নামাজ পড়বে, সে তার জন্মদিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে যাবে। (নাসাঈ, হাদিস: ২২১২। মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৬৬০।)

এ দুটি হাদীস দ্বারা বুঝা যায়, রমজানে তারাবির নামাজ আদায় করার দ্বারা সগিরা গোনাহ ও আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

তারাবির নামাজের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য কোরআন তিলাওয়াত করা ও শোনা। রমজান মাসে তারাবিতে অন্তত এক খতম কোরআন মাজিদ পড়া বা শোনা সুন্নত। তাছাড়া দোয়া কবুলের বিশেষ কিছু সময় রয়েছে; যেমন কদরের রাত্রি, ফরজ নামাজের পর। একইভাবে কোরআন-কারিম খতম করার পরও দোয়া কবুল হয়। 

হাদিসে এসেছে হযরত ইরবায ইবনে সারিয়া (রা.) হতে বর্ণিত, ‘রাসূলে করিম (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ফরজ নামাজ পড়লো, তার দোয়া কবুল হয়। আর যে ব্যক্তি কোরআন খতম করলো তার দোয়াও কবুল হবে।’ (আল-মুজামুল কাবীর, হাদিস: ৬৪৭)

লেখক : মুহাদ্দিস, জামায়িা মাদানিয়া বারিধারা

/ইউএস/
সম্পর্কিত
নতুন নোট নেই, বিকল্প উপায়ে ঈদ সালামি
মাসব্যাপী সবার জন্য বিনামূল্যে ইফতার, প্রশংসায় ভাসছেন তারা
এবার রাজশাহীতে ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৮৫ টাকা
সর্বশেষ খবর
খুশকি প্রাকৃতিকভাবে দূর করার কিছু উপায় জেনে নিন 
খুশকি প্রাকৃতিকভাবে দূর করার কিছু উপায় জেনে নিন 
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৫৯১০১ হজযাত্রী, মৃত্যু ৯
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৫৯১০১ হজযাত্রী, মৃত্যু ৯
ইজিবাইকচালকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
ইজিবাইকচালকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
ভারতের পানি সম্পর্কিত পদক্ষেপ লাখ লাখ মানুষকে হুমকিতে ফেলেছে
ভারতের পানি সম্পর্কিত পদক্ষেপ লাখ লাখ মানুষকে হুমকিতে ফেলেছে
সর্বাধিক পঠিত
সাংবাদিক সংকটে ফারুকীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত
সাংবাদিক সংকটে ফারুকীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত
অবশেষে বিএনপিকে সময় দিলেন ড. ইউনূস, ডাকলেন জামায়াতকেও
অবশেষে বিএনপিকে সময় দিলেন ড. ইউনূস, ডাকলেন জামায়াতকেও
নুরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের
নুরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের
জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রীসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রীসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বিমানের প্রধান ফ্লাইট পার্সারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
বিমানের প্রধান ফ্লাইট পার্সারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ