X
মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ইসলামি দলের মূল নেতৃত্বে নারীরা উপেক্ষিত

সালমান তারেক শাকিল
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:০০আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:০১

দেশের বৃহত্তম ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এই দলটির সর্বমোট রুকনের মধ্যে ৪০ শতাংশ সদস্য নারী। দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও মজলিসে শূরার সদস্য হিসেবেও রয়েছেন নারীরা। তবে দলের মূল নেতৃত্ব বা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কোনও নারী নেতা নেই।

জামায়াতের মতো অন্যান্য দলেও একই পরিস্থিতি। দল ও সংগঠনের নানা স্তরে নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও মূল নেতৃত্বে কোনও নারী নেই। অতীতেও ধর্মভিত্তিক দলের নেতৃত্বে আসতে পারেননি কোনও নারী। 

ইসলামি দলগুলোতে খোঁজ নিয়ে পাওয়া গেছে নানা চিত্র। জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ ও বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্বে নারীরা থাকলেও অন্যান্য দলের অবস্থান এক্ষেত্রে আরও নিম্নমুখী।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মূলত ইসলামি রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণই খুব কম। দু’একটি দলে নারীদের অংশগ্রহণ থাকলেও তা গৌণ। ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহিলা মাদ্রাসাগুলোতে রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক কোনও কার্যক্রমও নেই, বলে জানান একাধিক বিশ্লেষক।

কেউ কেউ মনে করেন, ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে যারা মাজার বা খানকাভিত্তিক— সেই সংগঠনগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক বেশি।

ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের গঠনতন্ত্র, কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, যৌতুক বিরোধিতার পাশাপাশি নতুন করে নারী-নীতি প্রণয়নের অঙ্গীকার রয়েছে কোনও কোনও দলের। নারী মুক্তির প্রশ্নটিকে ‘ধর্মীয় বাধা’ হিসেবে উল্লেখপূর্বক কোনও দল তা বন্ধের প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার কথাও উল্লেখ করেছে।

নির্বাচন কমিশনে ১২টি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন রয়েছে। নিবন্ধিত ১২টি দল হচ্ছে— জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।

নিবন্ধিত দলগুলোর চিত্র

নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল জাকের পার্টি মূলত ফরিদপুর জেলার আটরশি মাজারকেন্দ্রিক। সারাদেশে  দলটির বিপুলসংখ্যক নারী সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে।

দলের মহাসচিব শামীম হায়দার জানান, সর্বশেষ জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুসারে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ অংশগ্রহণ রয়েছে নারীর। জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ নারীর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে বলে জানান মহাসচিব। দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে মোট কত সদস্য রয়েছেন, তা অবশ্য জানাতে পারেননি শামীম হায়দার।

১০১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তত ২২-২৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনে। দলটির মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা নারীদের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি। আমরা আমাদের সবগুলো কমিটিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে বাধ্যতামূলক করেছি। দলের সর্বস্তরে চিঠিও দিয়েছি।’

তবে রেজাউল হক চাঁদপুরী উল্লেখ করেন, তরিকত ফেডারেশনের জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ কম। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সংশ্লিষ্ট শাখাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে এগিয়ে থাকা দল ইসলামী আন্দোলন। দলের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, ‘আমাদের নারীদের কোনও আলাদা সংগঠন নেই। তবে ‘মহিলা ইউনিট’ নামে আমাদের মহিলাদের মাঝে কাজ চলে। মহিলা ইউনিটের কেন্দ্রীয় কোনও রূপ নেই। যেমন- কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা, থানা বা ওয়ার্ড। স্ব স্ব শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদকের তত্ত্বাবধানে এ কার্যক্রম চলে থাকে।’

‘তালিম, তারবিয়াত, প্রয়োজনীয় দীন-ই ইলম চর্চা ও আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ এবং সর্বাবস্থায় দীন বিজয়ের আন্দোলনে আপন-আপন পুরুষদের সহযোগিতা করা’ নারী কর্মীদের কাজ বলে উল্লেখ করেন আহমদ আবদুল কাইয়ূম।

খেলাফত মজলিসে নারীদের নিয়ে আলাদা সহযোগী সংগঠন আছে। নাম বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা মজলিস।

জানতে চাইলে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল জানান, সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য নিশ্চিত করা হবে,  গঠনতন্ত্রে উল্লেখ আছে। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩৩ ভাগ নারী সদস্য আছেন। ৯৭ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৩৫ জন সদস্য নারী রয়েছেন।’

নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সদস্য হিসেবে দুইজন নারী আছেন, বলে দলের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, ‘আমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দীন প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারী-পুরুষ সবারই অংশগ্রহণ করার প্রয়োজন আছে। এ কারণে আমরা নারী- পুরুষ নির্বিশেষে ইসলামের কাজ করি।’

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (কাসেমী) কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তত ১২-১৩ জনের মতো নারী রয়েছেন। দলের নারীদের সর্বোচ্চ পদ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৫ জনের মতো নারী রয়েছেন, বলে দলীয় একটি সূত্র জানায়।

নতুন নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। খানকাভিত্তিক এ দলটিতে কতজন নারী আছেন, কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোনও নারী আছেন কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আল হাসানীকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

বিদায়ী বছরে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনপ্রাপ্ত দল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ। এই দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি বা দলে কেমন নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে দলটির দায়িত্বশীলদের ফোন করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে যখন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালু হয়, তখন সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সব পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার বিধান করে নির্বাচন কমিশন। ২০২০ সালের মধ্যে তা মানার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনও দলই এই শর্ত পূরণ করতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে নানান আলোচনার মধ্যে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সেই আইন সংশোধন করে আরও১০ বছর বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নীত করে ইসি।

অন্যান্য দলে কী পরিস্থিতি

নিবন্ধনের বাইরে প্রধানত জামায়াতে ইসলামীসহ মাজারকেন্দ্রিক দু’তিনটি রাজনৈতিক দল রয়েছে—যেগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণ আছে। তবে তা মূল নেতৃত্ব পর্যায়ে নয়।

নিবন্ধনহীন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের সংখ্যা অন্তত অর্ধশতাধিক। ওই দলগুলোতেও নারীদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনা বিরল। নির্বাচনের সময় সামনে আসা এসব দলের বেশিরভাগ বাকি সময়ে নিষ্ক্রিয় থাকে।

জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, জামায়াতের মোট রুকনের প্রায় ৪০ শতাংশ নারী। এই রুকনরাই ভোটে দলের আমির নির্ধারণ করেন। 

দলের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের দলে প্রায় এক লাখের মতো রুকন রয়েছেন।’

জামায়াতের কেন্দ্রীয় একজন দায়িত্বশীল নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দলে রুকনের সংখ্যা সবমিলিয়ে ৮৫ হাজার হতে পারে।’

দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও মজলিসে শুরায় নারীদের অংশগ্রহণ রয়েছে। আশরাফুল আলম ইমন জানান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে থানা কমিটি পর্যন্ত সব কমিটিতে নারীরা রয়েছে।  এছাড়া মহিলা উইংয়ের মাধ্যমে আরও নিবিড় তত্ত্বাবধান ও কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

জামায়াতের মহিলা উইং এর কেন্দ্র, মহানগরী, থানায় পুরুষদের মতোই কমিটি রয়েছে, বলে জানায় সূত্র।

নিবন্ধনের বাইরে থাকা দলগুলোর মধ্যে নেজামে ইসলাম পার্টি, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টিসহ অনেকগুলো দল রয়েছে। এসব দলগুলোর নেতারা নিশ্চিতভাবে দলে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনও তথ্য জানাতে পারেননি।

জানতে চেয়ে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল ও নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একেএম আশরাফুল হককে ফোন করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। 

নারীরা কেন কম অংশগ্রহণ করেন ইসলামি রাজনীতিতে

ইসলামিক লেখক ও চিন্তক মনযূরুল হক মনে করেন, তিনটি কারণে বাংলাদেশে ইসলামি রাজনীতি বা যেকোনও বিষয়ের নেতৃত্বে নারীদের কম দেখা যায়।

মনযূরুল হকের ব্যাখ্যা, ‘প্রথমত, দেশের মহিলা মাদ্রাসায় অ্যাক্টিভিজমের কোনও জায়গা নেই। ইসলামি মতাদর্শিক কোনও অ্যাক্টিভিস্ট নেই। মহিলা মাদ্রাসাগুলোতে কোনও বক্তৃতা, ইসলামি সংগীত পরিচালনাও প্রায় দেখা যায় না।’

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে একটি উদাহরণ তুলে ধরেন মনযূরুল হক। তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ইসলামী আন্দোলন বিভিন্ন জায়গায় নারীদের ভোটের জন্য নামিয়েছিল। তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এখানে যে প্রশ্নটি উল্লেখযোগ্য, তা হচ্ছে পর্দার প্রসঙ্গটি। কে ভোট চাইবে, পর্দা করে নারী কেন ভোট চাইবে। সমাজের চোখে, দ্বীনদারদের চোখে খারাপ হয়ে যাচ্ছে’ এ রকম আলোচনা হয়েছে। যে কারণে সমালোচনাও একটি কারণ নারীদের ইসলামি রাজনীতি থেকে বিরত থাকার।’

তৃতীয় কারণ হিসেবে মনযূরুল হক উল্লেখ করেন, আমাদের দেশে নারী নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন আছে। যেমন- খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চার দলীয় জোট গঠন হওয়ায় ওই সময় ইসলামী ঐক্যজোটে অংশ নেয়নি ইসলামী আন্দোলন। লক্ষণীয় যে, রাজনীতি কিংবা যেকোনও নেতৃত্বে নারীরা থাকতে পারবে না, এমন মৌলিক চিন্তাধারা ইসলামি নেতৃত্বের মধ্যে রয়েছে। এক্ষেত্রে কোরআন-হাদিসের উপমাও রয়েছে। পুরুষেরা নেতৃত্বে থাকবে। মোটা দাগে এই তিনটি কারণে নারীদের ইসলামি দলে কম দেখা যায়।

মূলত ধর্মের নানা সূত্রের ভিত্তিতেই ইসলামি দলগুলোর মূল নেতৃত্বে নারীদের অংশগ্রহণ কম। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার উল্লেখ করা যেতে পারে। তার মন্তব্য ছিল, ‘ইসলামী রাষ্ট্রে নারীরা সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ইত্যাদি হতে পারবেন, কিন্তু রাষ্ট্রপ্রধান হতে পারবেন না।’

নারীদের নেতৃত্ব নিয়ে বরাবরই ধর্মভিত্তিক দল, সংগঠন ও আদর্শ নির্বিশেষে নানা মত রয়েছে। আধুনিককালে বিভিন্ন দেশের মুসলিম নারী শাসকদের প্রসঙ্গ সামনে এনে কেউ কেউ নারী নেতৃত্ব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। তবে আলেমদের মধ্যে কেউই নারীকে নেতৃত্বে আনতে অপারগ।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতির একজন বিশ্লেষক বলেন, ‘মহিলা মাদ্রাসায় ইসলামি রাজনীতি নিয়ে কোনও কার্যক্রম নেই। অর্থনৈতিকভাবে নারীর শক্তিশালী হওয়া, বা রাজনীতিতে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পরিবর্তে ‘ভালো ঘরনি’, ‘ভালো মা’, ‘ভালো স্ত্রী’ হওয়ার প্রশিক্ষণ মেলে মহিলা মাদ্রাসায়।’

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মুফতি গোলাম রাব্বানীর ব্যাখ্যা হচ্ছে,  ‘ধর্মীয়ভাবে ইসলামের মানসিকতা হচ্ছে— নারীরা ঘরোয়াভাবে কাজ করবে। আমরা যদি তাবলীগে দেখি, সেখানে নারীরা অংশ নিচ্ছেন। কারণ, তাবলীগের পদ্ধতিটি ঘরোয়া। নারীদের যে জামাত হয়, সেটিও কারও ঘরে অবস্থান নেয়। মূল জামাত অবস্থান করে মসজিদে।’

‘অপরদিকে রাজনীতির ক্ষেত্রে নারীদের রাস্তায় ও পথে নামতে হয়। ইসলাম নারীর এই পথে নামার বিষয়টিকে সমর্থন করে না।’ উল্লেখ করেন মুফতি গোলাম রাব্বানী।

তিনি বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতির ক্ষেত্রে নারীরা মৌনভাবে সাপোর্ট করেন। যারা রাজনীতি করেন, তাদের সমর্থন দেন নীরবে। সাধারণত মহিলা লীগ, মহিলা দল যেমন হয়— মহিলা শাসনতন্ত্র, মহিলা ইসলামী ঐক্যজোট— এগুলো দেখা যায় না।’ 

/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
‘মাদকগ্রহণকারী নারীর সংখ্যা বাড়লেও চিকিৎসায় পিছিয়ে রয়েছে’
মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে জাতিসংঘে সমালোচনার মুখে তালেবান
সুঁই-সুতোয় ‘স্বপ্ন বুনছেন’ ভোলার আমেনা খানম
সর্বশেষ খবর
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
গরমে মরে যাচ্ছে শাকসবজি গাছ, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা চাষিদের
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল, ২০২৪)
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
রাজশাহীতে গরমে নাকাল প্রাণিকুল, মারা যাচ্ছে পাখি
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
দুর্নীতির অভিযোগে ইসলামপুর পৌর মেয়র বরখাস্ত
সর্বাধিক পঠিত
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
‘পুলিশ’ স্টিকার লাগানো গাড়িতে অভিযান চালাবে পুলিশ
আজ কি বৃষ্টি হবে?
আজ কি বৃষ্টি হবে?
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
জালিয়াতির মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তার ২৬ বছরের কারাদণ্ড
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার দুই বিভাগের সব, তিন বিভাগের আংশিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়
এসি কেনার আগে মনে রাখতে হবে এই ৭ বিষয়