মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ক্যু’র মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে অনুপ্রবেশকারী এবং বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাস্টারমাইন্ড।
বুধবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘরের সামনে যুবলীগের উদ্যোগে ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ স্মরণে করা এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘খুনিরা জানতো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কেউ যদি বেঁচে থাকে, তাহলে বাংলার মানুষ আবারও ঐক্যবদ্ধ হবে। সে কারণে তারা সবাইকে হত্যা করেছিল।’
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যাদের হত্যার ষড়যন্ত্র এখনও করে যাচ্ছে জিয়ার পরিবার। তারেক রহমান হাওয়া ভবনে বসে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করে ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা।’
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস বলেন, ‘যে সব সেনা কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ৭ নভেম্বর অভ্যুত্থানের পর জিয়াউর রহমানের নির্দেশে তাদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়। এমনকি মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তাদের স্ত্রী, পুত্র-কন্যাদের হত্যা করা হয়েছে। তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এটাই ছিল জিয়ার সিপাহী-জনতার বিপ্লবের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজরে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন– যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।