ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে শনিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে যে খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই খাবার খাননি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি ডিএমপির গোয়েন্দা ব্র্যাঞ্চের প্রধান হারুন অর রশিদের জন্য বাসা থেকে পাঠানো খাবারই খেয়েছেন।
রবিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে চলে যাওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
বিএনপির নীতি নির্ধারক পর্যায়ের এই নেতা জানান, ডিবি কার্যালয়ে তার জন্য যে খাবারের আয়োজন করা হয়, তা তার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী ছিল না। এ ছাড়া এই খাবার নিয়ে তার সন্দেহও ছিল। সে কারণে তিনি আর ওই খাবার গ্রহণ করেননি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সৌজন্য রক্ষায়— তার জন্য বাসা থেকে নিয়ে আসা খাবার থেকে ভাতসহ হালকা সবজি ও রুই মাছের একটি টুকরা গ্রহণ করি।’
তিনি বলেন, ‘ডিবি প্রধান আমাকে অনুরোধ করেছেন, রুই মাছটি তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। আর যেহেতু ডিবি প্রধান নিজেই খাবারটি খাচ্ছেন, তখন আমার মনে হলো— এটা যদি গ্রহণ করি, তাহলে সমস্যা হবে না।’
তবে আপ্যায়ন করে সেটার ছবিসহ ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, ‘‘যারা এ কাজটি করেছে, এটি অত্যন্ত নিম্ন রুচির পরিচায়ক। এক ধরনের তামাশাপূর্ণ নাটক। এতে কি সরকার প্রমাণ করতে চায় যে, আমরা হা-ভাতে? ভিক্ষা করে খাই? গ্রামের ভাষায় বলা হয়— ‘খাইয়ে খোটা দেওয়া’। ডিবি অফিসে আমার সঙ্গে যা করা হলো, তা ওই রকমই। আমার বাড়িতেও তো বিভিন্ন সময়ে অনেক লোক খান।’’