X
রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সময় আছে নিরাপদে প্রস্থান করতে পারেন: মির্জা ফখরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:১১আপডেট : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৪৯

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সময় আছে এখনও নিরাপদে প্রস্থান করতে পারেন। চলে যান পদত্যাগ করে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন। নতুন একটা নির্বাচন কমিশন করে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে– এটাই জনগণের দাবি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র রক্ষা ও এক দফা দাবি আদায়ে মরহুম সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে মানুষের ঢল নামছে। সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো মানুষ আসছেন। আমরা সচেতনভাবে এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের সংঘাতপূর্ণ কর্মসূচি দেইনি। আমরা আশা করবো সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এর মধ্যেই তারা পদত্যাগ করবেন এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন। দেশকে একটা সংকটের হাত থেকে উদ্ধার করবেন। এটা যে শুধু বিএনপি চায় এমনটা না। এটা আন্তর্জাতিক বিশ্বও চায়। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা সবাই চায়।’

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ঠিক করার জন্য এখনও সংগ্রাম করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোট দিতে পারবো কি পারবো না তার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় দেশটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এটা একজনেরই সম্পত্তি। তাদের বক্তব্যে প্রকাশ পায়, আরে এটা তো আমার সম্পত্তি, তুমি এখানে কোথা থেকে এলে?’

ওবায়দুল কাদেরের প্রতি প্রশ্ন রেখে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলছেন, এটা কি জনগণের কথা? এটা জনগণের কথা নয়। কারণ, জনগণের ভাষা আপনারা কোনোদিন বুঝতে চাননি।’

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দেশে যে চারটা নির্বাচন হয়েছে সেই ভোট সুষ্ঠু হয়েছে বলে দেশের মানুষ মনে করে। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি, তাতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটা বিষয়ের প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। যেখানে একটা রাজনৈতিক দল অপর আরেক রাজনৈতিক দলকে বিশ্বাস করে না। যে কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এই লড়াই তো ভারতে হয় না। এমনকি পাকিস্তানও নির্বাচনের বিষয়ে একটা সিস্টেম লক করে ফেলেছে– তাদের ওখানে নির্বাচনটা সুষ্ঠু হবে। কারণ, তাদের ওখানে কেয়ারটেকারের মতো সিস্টেম আছে। নেপালও তাদের নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু করেছে।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারলে আমরা কেন পারছি না? আমরা পারছি না শুধু আওয়ামী লীগের কারণে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘প্রতিটা রাজনৈতিক দলই বলছে, এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাহলে কেন তারা জোর করে বসে আছেন? কারণ, তারা জানেন, নির্বাচন যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হয়, তাহলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এটা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগের কোথাও কোনও অস্তিত্ব নেই। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। এখনও সময় আছে, আপনারা দয়া করে পদত্যাগ করেন।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়কারী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

/এএজে/আরকে/এমওএফ/
সম্পর্কিত
কুমিল্লায় বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিলেন পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা
সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে: তারেক রহমান
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে সালাউদ্দিনতিন উপদেষ্টাকে বিদায় করুন, আপনি কি চান নির্বাচনের জন্য যমুনামুখী লংমার্চ করুক জনগণ
সর্বশেষ খবর
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো
বিমানের চাকা খুলে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা গেলো
মাথা ন্যাড়া করে জুতার মালা পরিয়ে যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
মাথা ন্যাড়া করে জুতার মালা পরিয়ে যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
আ.লীগ নেতাসহ শতাধিক ব্যবসায়ীর এনসিপিতে যোগদান
আ.লীগ নেতাসহ শতাধিক ব্যবসায়ীর এনসিপিতে যোগদান
ইমনের বিশেষ সেঞ্চুরি, প্রশংসা পেলেন অধিনায়কের
ইমনের বিশেষ সেঞ্চুরি, প্রশংসা পেলেন অধিনায়কের
সর্বাধিক পঠিত
চট্টগ্রামে হচ্ছে একাধিক হাসপাতাল, পাল্টে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র
চট্টগ্রামে হচ্ছে একাধিক হাসপাতাল, পাল্টে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
নগর ভবনে উপদেষ্টা আসিফকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষককে বরখাস্ত
ছাত্রলীগের ১৫ জন মিলে চার মিনিটের মিছিল, আটক তিন
ছাত্রলীগের ১৫ জন মিলে চার মিনিটের মিছিল, আটক তিন
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে কঠোর হলো ভারত