দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে অবস্থানের পর দেশে ফিরছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। দেশে ফেরার জন্য এরই মধ্যে ট্রাভেল পাস (ভ্রমণ অনুমোদন) পেয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) তাকে এই পাস দেওয়া হয়েছে। এদিন রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘তিনি ট্রাভেল পাস পেয়েছেন। তবে কবে ফিরবেন, জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা যায়নি।
শিলংয়ের জজ আদালতের রায়ে ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বেকসুর খালাস পান গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১২ জুন রাতে ট্রাভেল পারমিট হাতে পান তিনি। ওই সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন (৭ জানুয়ারি ২০২৪) সামনে রেখে তিনি দিল্লি সফর করেন। ওই সময় সেখানে চিকিৎসাসেবাও নেন।
২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার আগে দেশের ভেতরেই দুই মাস নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে। সালাহউদ্দিনের নিখোঁজের পর সংবাদ সম্মেলন করে তার সন্ধান দাবি করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ।
পরে আবার ভারত সরকারপক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এ গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান।