সামরিক বাহিনীর চার-তারকা অফিসারদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। সোমবার (৫ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিওতে হেগসেথ বলেন, ‘আরও বেশি জেনারেল কিংবা অ্যাডমিরাল মানেই বেশি সাফল্য নয়।’ ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই পেন্টাগনের ভেতরে এই পরিবর্তন বড় ধরনের আলোড়ন তুলেছে।
ফক্স নিউজের সাবেক উপস্থাপক হেগসেথ অনেক দিন ধরেই সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বকে ‘অতিরিক্ত’ বলে সমালোচনা করে আসছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি অবিশ্বাস্য দ্রুততায় পেন্টাগনের পুনর্গঠন শুরু করেছেন। উচ্চপদস্থ জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের বরখাস্ত করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছেন এবং যেসব উদ্যোগকে তিনি ‘বৈষম্যমূলক’ মনে করেন, সেগুলো বাতিল করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ভিডিওতে হেগসেথ আরও বলেন, ছাঁটাইগুলো ‘সতর্কভাবে হলেও দ্রুততার সঙ্গে’ করা হবে। তিনি বলেন, জাতীয় গার্ডে জেনারেল অফিসারদের সংখ্যায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ ছাঁটাই হবে। সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীর জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারদের মধ্যে আরও ১০ শতাংশ কমানো হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি কোনও প্রতিশোধমূলক ‘স্ল্যাশ অ্যান্ড বার্ন’ পদক্ষেপ নয়। শীর্ষ কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যও নয়।’
হেগসেথ জানান, তিনি জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ-এর সঙ্গে এই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছেন এবং উদ্দেশ্য হলো ‘কৌশলগত প্রস্তুতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।’
রোড আইল্যান্ডের সিনেটর সেনেটের ও সশস্ত্র বাহিনী সংক্রান্ত কমিটির শীর্ষ ডেমোক্র্যাট জ্যাক রিড এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি সবসময় প্রতিরক্ষা বিভাগে দক্ষতা বৃদ্ধির পক্ষে, কিন্তু কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো কঠিন সিদ্ধান্তগুলো তথ্য ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত, ইচ্ছামাফিক শতকরা হারে নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ অফিসারদের পদ ছাঁটাই কোনোভাবে ‘দক্ষতা’ তৈরি করবে না, বরং সামরিক বাহিনীকে বিপর্যস্ত করতে পারে।’
তবে ঠিক কোন পদগুলো বাতিল হবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।