বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরের আগ থেকেই লন্ডনে সক্রিয় ছিল বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ বিরুদ্ধে, আর জামায়াতসহ বাকি দলগুলোর নেতাকর্মীরা মঙ্গলবারও ড. ইউনূসের সমর্থনে সরাসরি মাঠে ছিল তাকে স্বাগত জানাতে। ব্যতিক্রম শুধু বিএনপি। তাদের কোনও উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীকে মাঠে দেখা যায়নি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করায় বাংলাদেশের বাইরে দেশটি তাদের দ্বিতীয় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। লন্ডনে নিকট অতীতে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ঢল দেখা গেছে। কিন্তু ড. ইউনূসের সফরের শুরু থেকে নিরব ছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। অবশেষে মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে নিরবতা ভেঙে শুক্রবার (১৩ জুন) মাঠে নামার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক হজ করতে গেছেন, এখনও ফেরেননি। সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদ বাংলাদেশে। তাই সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শুক্রবার মাঠে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তারা জানান, শুক্রবার সকালে সেন্ট্রাল লন্ডনের যে হোটেলে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক হবে তার বাইরে অবস্থান নেবেন যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
যুক্তরাজ্য বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে নেতাকর্মীরা কোনও ব্যানার বা প্ল্যাকার্ড নিয়ে যাবেন না। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে নেতাকর্মীদের কাউকে কোনও ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হবে না। যারা স্বতস্ফূর্তভাবে যাওয়ার তারা যাবেন।
কত মানুষের সমাগম হতে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা জানান, অন্তত ছয়শর বেশি নেতাকর্মী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের সভা চলাকালে ওই হোটেলের বাইরে অবস্থান করবেন।
এই কর্মসূচির বিষয়ে আরও জানতে রাতে যুক্তরাজ্য বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের ফোনে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।