বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আপনারা (এনসিপি) কী চেয়েছেন, আপনাদের মার্কা আমার জানার বিষয় নয়। কিন্তু পত্রিকায় দেখেছি, দয়া করে সরকার ও নির্বাচন কমিশন এমন কিছু করবে না, যেটা বিতর্কিত হয়ে পড়ে। তাহলে নির্বাচনে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
সোমবার (২৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনে উদ্যোগে ‘১৪, ১৮, ২৪ অবৈধ নির্বাচনে সহযোগী কর্মকর্তাদের আগামী নির্বাচনের কাজে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি’তে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে বেছে নিতে দিন কারা সরকার গঠন করবে, কারা নিরপেক্ষভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করবে— সেই সিদ্ধান্ত জনগণের ওপর ছেড়ে দিন। জোর করে কেউ আর ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অতীতে শেখ হাসিনা কাজ করতে দেয়নি, তার পরিণাম জেলখানা, তার পরিণাম মামলা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক চিফ হুইপ বলেন, তাই আপনাদের উদ্দেশে বলতে চাই— এখন হাসিনা নেই, এরশাদ নেই, এখন হারুন ও বিপ্লব নেই। এখন বাংলাদেশে আছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন সজ্জন ব্যক্তি। প্রতীকের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে দেশে সেই দল সরকার গঠন করবে, যে দল শহীদদের আত্মত্যাগকে সফল করেছে। সেই সংগ্রামী দলগুলো নিয়ে আগামীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুক বলেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শুধু তাদেরকে গ্রেফতার করলেই হবে না। আরও যারা আছে, যারা আমার দেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, যারা এদেরকে সহযোগিতা করেছে, তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম মোজাম্মেল হক প্রমুখ।