সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, যে সংস্কার করতে গেলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে, সেটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে আলোচনাকে লম্বা করে টেনে নেওয়ার দরকার নেই। বেসিক ইস্যুগুলোতে আমরা একমত হতে পারি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে গণফোরামের তিন শীর্ষ নেতার স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, সম্প্রতি একটা নির্বাচনের বাতাস বইছে। মানুষের মধ্যে আশ্বস্ত হওয়ার ভাব দেখছি। সমস্ত বিচারের কাজ যত দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজন করা দরকার। মনে রাখতে হবে, বহু বছর ভোট দিতে পারেনি এ দেশের জনগণ। আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের মৌলিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদের এ অধিকার থেকে বেশিদিন বঞ্চিত রাখলে অবিচার করা হবে।
এসময় ফ্যাসিবাদী শাসনের দায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া কোনও রাজনৈতিক দাবি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—একটা আরেকটার বিকল্প না, একটা আরেকটার পরিপূরক। মানবতাবিরোধী অপরাধ যারা করেছে, যারা আমাদের দেশের সম্পদ লুট করে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে, তাদের বিচার হতে হবে দেশের প্রচলিত আইন মেনে। অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সরকারি সব দফতরে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী এই সদস্য বলেন, ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হবে, তার ভিত্তিতে জাতীয় সনদ প্রবর্তন করে—তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেসব বিষয়ে একমত হওয়া যাবে না, তার ফয়সালা করবে জনগণ। যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসবে—তারা আগামী দিনে পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
স্মরণসভায় গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।