X
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪
২২ বৈশাখ ১৪৩১

সহায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে: বিএনপি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ মে ২০১৭, ১৪:৪৮আপডেট : ২৯ মে ২০১৭, ১৫:১১

বিএনপি আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকারের অধীনেই দিতে হবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলটির সিনিয়র নেতারা জোর দিয়ে বলেন, নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া কোনও অবস্থাতেই নির্বাচন হবে না।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। আমরা নির্বাচনে যাবো। তবে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া তা হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সবার নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, সবার জন্য সমান সুযোগ দিতে হবে। সহায়ক সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।’

মির্জা ফখরুল দেশের উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের অবদান তুলে ধরে বলেন, ‘শহীদ জিয়ার অবদান ছিল অসংখ্য। যেখানেই যান তার অবদান রয়েছে। কোনদিকে তাকাবেন? সবখানে তাকে পাবেন। নারী ও শিশু মন্ত্রণালয় তার সৃষ্টি। চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গবেষণা কেন্দ্র, ঈশ্বরদীতে সুগার রিসার্চ ইনস্টিটিউট, খামার বাড়িতে গবেষণা কেন্দ্র তার প্রতিষ্ঠা করা। এমনিভাবে অসংখ্য জায়গায় তার নামফলক রয়েছে।’

ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগ দেশে পরিকল্পিতভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছে। তারা প্রথম আঘাত এনেছে রাজনীতিতে। এভাবে সর্বস্তরে তারা ধ্বংস করছে। প্রবৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। সরকার সমগ্র মানুষকে প্রতারিত করছে। এখন প্রবৃদ্ধি হচ্ছে শুধু আওয়ামী লীগের নেতাদের। সবই মিথ্যাচার করছে সরকার।’

সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শহীদ জিয়া অনন্য গুণাবলী দিয়ে মাত্র ১০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নেন। শহীদ জিয়া আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। আজকে গায়ের জোরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ সরকার ফ্যাসিবাদী আচরণ করছে। কারণ তাদের জনভিত্তি নেই।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ঠিকই কিন্তু তারা নিজেরাই তা মানেনা। এখন ভোট পাওয়ার জন্য হেফাজতের সঙ্গে সম্পর্ক করছে। এসব করে লাভ নেই। অতীতে খেলাফতে মজলিসের সঙ্গে ৫ দফা চুক্তি করেছিল ভোটের জন্য। আজকের পরিস্থিতি বিবেচনায় মনে হয় আওয়ামী লীগ সুবিধাবাদী দল। বহু বছর হয়েছে দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন দেখতে চায়।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যখন গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হয়েছিল, তখন জিয়াউর রহমান মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আজও গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরা হয়েছে। তারা বলতে পারেনা, লিখতে পারেনা। আমি মনে করি এই সরকারই শেষ সরকার নয়। আসুন আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হই।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশকে সমৃদ্ধকরণের জন্য যা দরকার তার সবই করেছিলেন শহীদ জিয়া। স্বাধীনতার পর একটি ভঙ্গুর দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির খেতাব ঘুচিয়েছিলেন। আজকে ক্ষমতাসীন সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আসুন আরেকটিবার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করি।’

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান কখনোই মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে রাজনীতি করেননি। এখান থেকে বহুদূরে ছিলেন তিনি। অথচ বর্তমান সরকার তা করছে। এখানেই জিয়া সারাবিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর জাতি যখন পরিচয় সংকটে ভুগছিলেন তখনই শহীদ জিয়া জাতির পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে আমাদের পরিচয়টা দিয়েছিলেন। আজকে রেইনবো জাতির ভিত্তি হলো সেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। এরমাধ্যমে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।’

আমির খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি গার্মেন্টস শিল্প প্রতিষ্ঠা, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রেমিনটেন্স আয়, কৃষির জন্য সেচ ব্যবস্থা চালু করেছিলেন জিয়াউর রহমান।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শ্রমিকদল সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছা সেবকদলের শফিউল বারী বাবু, ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।

/এসটিএস/এসএনএইচ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক করতে একসঙ্গে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ: রোমাঞ্চের চেয়ে টেনশন বেশি কাজ করছে নিগারের
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ: রোমাঞ্চের চেয়ে টেনশন বেশি কাজ করছে নিগারের
১৯ বছর পর হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১৯ বছর পর হত্যা মামলায় স্বামী-স্ত্রীসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
সর্বাধিক পঠিত
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
মাঠ প্রশাসনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের লাগাম টানবে সরকার
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
রবিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা, শনিবারও চলবে ক্লাস
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
মিল্টন সমাদ্দারের তিন মামলার বাদীরই মুখে কুলুপ
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি
স্বর্ণের ভরিতে বাড়লো ১ হাজার টাকার বেশি