খালেদা জিয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য খারাপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য যদি ভালো হতো তাহলে খালেদা জিয়া যে অসুস্থ সেজন্য তার ব্যক্তিগত ডাক্তারকে চিকিৎসার জন্য যেতে দিতো। ১/১১ সময় খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও তার চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত ডাক্তার দেওয়া হয়েছিল। তাহলে এখন তাকে দেওয়া হবে না কেন?’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং খালেদা জিয়াকে আদালতের মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমান সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে। সম্ভবত সেই কারণে আন্তর্জাতিকভাবে এই সরকার স্বৈরাচারী সরকার উপাধি নিয়ে এসেছে। কিছুদিন আগে বিশ্বে যে ৫০ জন স্বৈরাচার শাসকের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী পাঁচ নম্বরে।’
তিনি আরও বলেন, দেশে-বিদেশে সব জনসাধারণই বলছে আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপিকে নির্বাচন করতে হবে, তা না হলে সেটা নির্বাচন হবে না। বিএনপি ছাড়া নির্বাচন ২০১৪ সালের মতোই হবে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
মোশাররফ আরও বলেন, ‘বারবার দেশের জনগণকে প্রতারণা করা যাবে না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ বলেছিল এ নির্বাচন নিয়মরক্ষার নির্বাচন। পরবর্তীকালে সব দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু আপনারা তা করেননি।’
সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায় উল্লেখ করে বিএনপি’র এই নেতা বলেন, ‘ভয় পায় বলেই তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। শুধু যে তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে তা নয়, দেশের গণতন্ত্রকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি নাছিরুদ্দিন হাজারির সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।