X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরোজ রশিদের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি নির্মূল কমিটির

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:২৬আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২১, ২৩:২৬

সংসদে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির বিষোদগার ও নিষিদ্ধের দাবি জানানোয় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদকে তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী নাগরিক সংগঠন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা স্পিকারের কাছে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানায়।

বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, সহ-সভাপতি শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযোদ্ধা কলাম লেখক সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল এই প্রতিবাদেনলিপিতে সই করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৪ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ যে কদর্য ভাষায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতি বিষোদগার করেছেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানায় এবং সংসদের ধারাবিবরণী থেকে এ ধরনের অসংসদীয়, কদর্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার জন্য স্পিকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, কাজী ফিরোজ রশীদ বাংলাদেশে বাস করেও কারা, কী উদ্দেশ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করেছেন তা যদি না জানেন, সেটা চরম মূর্খতারই পরিচায়ক। ‘নির্মূল’ শব্দকে নিয়ে তিনি বিদ্রুপ করে আমাদের প্রকারান্তরে হত্যাকারী বলেছেন। জাতীয় পার্টির সংবিধানকে হত্যা করে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা এবং মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, জনতা হত্যা করে ৯ বছরের স্বৈরশাসনের ইতিহাস জাতির অজানা নয়। ৭১-এর ঘাতকদের মন্ত্রী বানিয়ে অসাম্প্রদায়িক মানবিক সংবিধানে ‘রাষ্ট্রধর্ম’ যুক্ত করে দেশ ও জাতিকে পাকিস্তানের মতো সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং অমুসলিম নাগরিকদের সংবিধানিক অধিকার ও মর্যাদা হরণ করে জাতীয় পার্টি। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানকে যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে, তার দায় জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের পূর্ব পর্যন্ত বহন করতে হবে।

এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালে নির্মূল কমিটি যখন ’৭১-এর গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দেশে-বিদেশে ৩০ লাখ গণস্বাক্ষর সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে, তখন থেকে বাংলাদেশে পাকিস্তানপন্থী গণহত্যাকারীদের দল এবং তাদের পুনর্বাসনকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্মূল কমিটির প্রতি বিষোদগার আরম্ভ করেছে। জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ একই ভাষায় ৩০ লাখ শহীদের রক্তের মূল্যে অর্জিত মহান জাতীয় সংসদকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য বেছে নিয়েছেন, যেখানে নির্মূল কমিটির কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,  বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকারসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক মাননীয় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা গত ৩০ বছরে বহুবার নির্মূল কমিটির মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন। নির্মূল কমিটির আন্দোলনের কারণে ৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচার আরম্ভ হয়েছে। নির্মূল কমিটির দাবির কারণে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত ২০১৭ সালের মার্চে আমাদের মহান জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় আমরা যখন বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নিয়েছি, তখন কাজী ফিরোজ রশীদ কাদের তুষ্ট করার জন্য নির্মূল কমিটির প্রতি বিষোদগার করছেন, সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে লেখা সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আবার পুনঃস্থাপিত হবে এবং মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।

 

/এসও/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ