কুড়িগ্রামের রৌমারীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কৃষক সমাবেশে জামায়াতের মদদে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা মনে করেন, কুড়িগ্রামে কৃষক সমাবেশে জামায়াত ইসলামের নেতাকর্মীদের হামলা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের পরিপন্থী।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি'র সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যৈর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক হাসনাত কাইয়ুম যৌথ এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৯ নভেম্বর রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কুড়িগ্রামে কৃষক সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতারা পুলিশের উপস্থিতিতে যে হামলা চালিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আইনজীবী রায়হান কবীরসহ অন্যান্য নেতাদের ওপর এই হামলা অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আগত গণবুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি নাহিদ হাসান নলেজ বাধা দিতে গেলে তার ওপরও হামলা হয়, যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারদের পতনের পর যখন নতুন করে বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা যেখানে অত্যন্ত জরুরি, ঠিক সে সময়ে প্রশাসনের উপস্থিতিতে দলীয় কর্মসূচিতে হামলা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার মতো ঘৃণ্য কাজ।’
অবিলম্বে হামলায় জড়িত ব্যক্তি এবং যেসব পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে হামলা সংগঠিত করতে সহযোগিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।
পাশাপাশি তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।