X
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

যারা ‘নির্বাচন চাই’ স্লোগান দিচ্ছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষপাতী নন: সারোয়ার তুষার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৭ মে ২০২৫, ১৯:৩০আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, ১৯:৩০

যারা আজ ‘নির্বাচন চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের অনেকেই প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষপাতী নন। তারা নির্বাচনকে কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার। 

মঙ্গলবার (২৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংস্কার সমন্বয় কমিটি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক রূপান্তর: মৌলিক সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারোয়ার তুষার বলেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে সংস্কারের ভিত্তিতেই। নির্বাচন শেষ করে তারপর সংস্কার করবেন, এটা হবে না। আপনি যখনই নির্বাচন চান, করুন। কিন্তু তার আগে সংস্কার করতে হবে। কারণ, এই সংস্কারই আগামী নির্বাচনের বৈধতার ভিত্তি। যদি সত্যিই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান, তবে সংস্কার ছাড়া সেটা সম্ভব নয়। সংস্কার না হলে এবার যে নির্বাচন হবে, তা আগের যেসব নির্বাচন দেশবাসী মেনে নিয়েছে, সেগুলোর চেয়েও খারাপ হবে।

তিনি বলেন, আজ যারা ‘নির্বাচন চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন, তাদের অনেকেই প্রকৃতপক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষপাতী নন। তারা নির্বাচনকে কেবলমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চান। যারা মৌলিক সংস্কারের কথা বলছেন তারাই আসলে বাংলাদেশের সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে। অর্থাৎ এনসিপি সহ এখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা যারা আছেন, যারা মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে নিজেদের ঐকমত্য প্রদর্শন করেছেন— তারা আসলে বাংলাদেশের সুষ্ঠ নির্বাচন চান। এমন না যে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারাই ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু দেশের শান্তির জন্যই তারা সুষ্ঠ নির্বাচনের কথাটা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়—যখনই কোনও দল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, তখনই তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। ১৯৭২ সালে একচেটিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিএনপি ২০০১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েই চতুর্দশ সংশোধনী আনে। যার ফলশ্রুতিতে দেশে ‘লগি বৈঠার’ রাজনীতি শুরু হয়, ঘটে রাজনৈতিক সহিংসতা, লাশের ওপর নৃত্য চলে ঢাকায়। আওয়ামী লীগ এটিকে বলেছে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’। এই সহিংসতার পথ ধরেই এসেছিল ১/১১। প্রণব মুখার্জি তার বইয়েও লিখেছেন, কীভাবে সেই সময় আওয়ামী লীগ ও ১/১১ সরকারের মধ্যে সমঝোতা হয়েছিল।

তুষার বলেন, আমরা বলছি, উচ্চকক্ষ থাকা প্রয়োজন, তবে তা যেন ‘সংরক্ষিত নারী আসন’ ধাঁচের না হয়। বরং এটি হতে হবে জনগণের ভোটের অনুপাতে। এতে ছোট ও মাঝারি দলগুলো যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, তাদের জায়গা হবে। আর একজন ব্যক্তির ইচ্ছায় রাষ্ট্রীয় চরিত্র বদলে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করা যাবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী, এপি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।

/এএজে/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
আমরা ব্যতিক্রম ও বাংলাদেশপন্থা রাজনীতি করবো: মাহবুব আলম
আমাদের দেশের ভোটাররা ভোট বিক্রি করে দেয়: হাসনাত আবদুল্লাহ 
রয়টার্সের প্রতিবেদনবাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার নেপথ্যে কী?
সর্বশেষ খবর
আইএমএফ অসন্তুষ্ট হলেও কৃষিতে ভর্তুকি কমবে না
বাজেট ২০২৫-২৬আইএমএফ অসন্তুষ্ট হলেও কৃষিতে ভর্তুকি কমবে না
রোগ প্রতিরোধে মনোযোগ না দিলে হাসপাতাল বানিয়ে লাভ নেই : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
রোগ প্রতিরোধে মনোযোগ না দিলে হাসপাতাল বানিয়ে লাভ নেই : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ
সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ
মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাকসহ ১৭টি গরু লুট
মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ট্রাকসহ ১৭টি গরু লুট
সর্বাধিক পঠিত
ঢাবিতে বামপন্থিদের মশাল মিছিল ঘিরে উত্তেজনা, ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
ঢাবিতে বামপন্থিদের মশাল মিছিল ঘিরে উত্তেজনা, ‘ভুয়া ভুয়া’ দুয়োধ্বনি
যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ‘হত্যাকাণ্ডের’ সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাইলেন এটিএম আজহার
যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে ‘হত্যাকাণ্ডের’ সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাইলেন এটিএম আজহার
সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি ব্যবসা বন্ধ
সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য জুয়েলারি ব্যবসা বন্ধ
কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
সাবেক মন্ত্রী হীরাকে বাসায় পৌঁছে দিলো পুলিশ
সাবেক মন্ত্রী হীরাকে বাসায় পৌঁছে দিলো পুলিশ