জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, কোনও ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, গণঅভ্যুত্থানে দাবি ছিল ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। কারণ, এক ব্যক্তি আসবে, আরেক ব্যক্তি যাবে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আগের মতোই থাকবে, আবারও রাজপথে রক্ত ঝরবে, মা-বাবারা আবারও তাদের সন্তানদেরকে হারাবেন— এমন বাংলাদেশ চাই না।
শনিবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় গুলশানের সেলিব্রেটি কনভেনশন হলে এনসিপি’র ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ‘মৌলিক সংস্কার ও আগামীর রাজনীতি’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
নাসীর বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও সর্বশেষ ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন, সবার সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আগামীর বাংলাদেশ পুনর্গঠন চাই। বর্তমান সংবিধান একটি ফ্যাসিবাদী সংবিধান। এ সংবিধান যতদিন থাকবে, বাংলাদেশে ততদিন ফ্যাসিবাদ থাকবে। এ সংবিধান পরিবর্তন করতে না পারলে, আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী ফ্যাসিবাদের বিলোপ করতে পারবো না। সংবিধানকে নতুন করে বানানোর দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের কাঁধে।
তিনি বলেন, ২৪’র আন্দোলনে মানুষ মাঠে নেমে এসেছে, ৭১-এর পর আর বাংলাদেশে এমনটি ঘটেনি। এবারের অভ্যুত্থান তরুণদের নেতৃত্বেই ঘটেছে। তাই নতুন বাংলাদেশ তাদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে।
আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এক ব্যক্তি দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান হতে পারবেন না। এক ব্যক্তি বাংলাদেশের সব প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে থাকেন— এ ধরনের গ্যাংস্টার কালচারের কারণে জনগণ তার মৌলিক অধিকার ও বাকস্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়। আগামীতে আমরা কোনও ব্যক্তি বা পরিবারের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে চাই না, আমরা দায়বদ্ধ থাকতে চাই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাংবাদিক রেজাউল করিম রনি, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী মোস্তাঈন জহির, দ্যা ডিসেন্ট-এর সম্পাদক কদরুদ্দীন শিশির, ট্রাক লাগবে-এর ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও এনায়েত রশিদ, কাতারের নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হাসান মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ জিয়া হাসান, বিডি জবস-এর সিইও ফাহিম মাশরুর, কবি ও লেখক এসএম রেজাউল করিম মনু, এনসিপি’র যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়র তুষার, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব আরিফ আদিব, ডা. তাসনিম জারা।