২৭ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড। তবে এউইন মরগানের কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি রাউন্ড রবিনের শেষ দুটি ম্যাচ যেভাবে জিতেছে তার দল।
শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা দুই হারে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু তারা ঘুরে দাঁড়ায় দারুণ লড়াইয়ে। ৩১ রানে ভারতকে প্রথম হারের তিক্ততা দেয়। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রানের জয়ে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের সঙ্গে নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল।
এই দুই ম্যাচের দাপুটে পারফরম্যান্স অনেক অনুপ্রেরণা দিচ্ছে মরগানকে। কিউই বধের পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন, ‘গত দুই ম্যাচে আমরা যা অর্জন করেছি সেটা আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে মনে করছি। আমাদের পথচলায় এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের সেরা খেলাটা খেলতে সমর্থ হয়েছি।’
দুই জয়েই উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও জেসন রয়। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন বেয়ারস্টো। আর চোট কাটিয়ে ভারতের বিপক্ষে ফিরে টানা দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি আসে জেসনের ব্যাটে। তাদের অবদানের কথা তুলে ধরলেন মরগান, ‘স্বাভাবিক জুটিতে এমন দারুণ ব্যাপার হয় না, অসাধারণ জুটিতেই হয়। তারা দুজনই দুর্দান্ত। তারা ক্রিজে নেমে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে, স্ট্রাইক পেতে চেষ্টা করে সবসময়। এক কথায় তাদের জুটি চমৎকার।’
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড এজবাস্টনে লড়বে অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতকে। বার্মিংহামের এই মাঠে ১০ ম্যাচ খেলে এখনও হারেনি স্বাগিতকরা। মরগান বললেন, ‘হ্যাঁ, এটাই সেই জায়গা যেখানে আমরা খেলতে সত্যিই ভালোবাসি। প্রথম পর্বে আমাদের যদি ভেন্যু বাছাইয়ে সুযোগ দেওয়া হতো তাহলে সম্ভবত আমরা এজবাস্টন, দ্য ওভাল ও ট্রেন্ট ব্রিজকে বেছে নিতাম। এই তিন মাঠের একটিতে খেলা হতে যাচ্ছে, আমাদের জন্য এটা স্বস্তির ব্যাপার।’