X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

টিভি-টুর্নামেন্টের শামীম এখন জাতীয় দলে

রবিউল ইসলাম
২৩ জুন ২০২১, ১৭:০৯আপডেট : ২৩ জুন ২০২১, ১৭:১৩

মাঠের সব দিকে বাহারি শট খেলতে পারদর্শী শামীম হোসেন। দলের প্রয়োজনে হাতও ঘোরাতে পারেন। তার পারফরম্যান্স শুধু ব্যাট-বলেই সীমাবদ্ধ থাকে না। মাঠে দুর্দান্ত একজন ফিল্ডার। এই কারণেই যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন চাঁদপুর থেকে উঠে আসা এই তরুণ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট পার হয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলেও সুযোগ করে নিলেন তিনি। জায়গা পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দলে।

ছোটবেলায় যে স্বপ্নটা দেখতে ভয় পেতেন, সেটাই এখন শামীমের হাতের নাগালে! বিশ্বকাপ খেলে আসার পর থেকেই বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট ও সিরিজে দারুণ ছন্দে ছিলেন। যেমন আয়ারল্যান্ড উলভসের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতেই ঝড় তুলে খেলেছেন। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে তো সেরা ফিল্ডার হয়ে মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে ব্যাটই উপহার পেয়েছিলেন। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে চলমান লিগে ব্যাট কিংবা বোলিংয়ে খুব একটা সুযোগ না পেলেও ফিল্ডিংয়ে নিজের কাজটা ঠিকই করে গেছেন শামীম। সবমিলিয়ে নির্বাচকরা কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে আস্থা রাখছেন এই তরুণের ওপর।

শামিমও অবগত নিজের ভূমিকা নিয়ে। প্রথমবারের মতো ডাক পেয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমার পজিশন ছয় নম্বর। আমি চাই যেভাবেই হোক ফিনিশিংটা করতে আর দলকে এগিয়ে নিতে। এটাই আমার লক্ষ্য থাকে। তবে আমি জানি, নিজের ভূমিকা সম্পর্কে। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিং- যেভাবেই সুযোগ আসবে, সেভাবেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা থাকবে।’

শৈশবে চাচাতো ভাইদের ব্যাট-বলের খেলা দেখেই ক্রিকেটের প্রেমে মজে গিয়েছেলেন শামীম। ৮-৯ বছর বয়সে স্থানীয় টিভি-টুর্নামেন্টে নাম লিখিয়েছিলেন। ঠিকাদারি পেশায় ব্যস্ত বাবা ছেলের ক্রিকেট-প্রেমের কথা জানতেন। কিন্তু অন্য অনেক বাবার মতো বাগড়া দেননি। শুধু শর্ত ছিল পড়া-লেখাটা ঠিকমতো করতে হবে। গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়া গ্রামের হামিদ পাটওয়ারী ও রিনা বেগমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে শামীম সবার ছোট।

তার জাতীয় দলে সুযোগের খবরে দারুণ খুশি পরিবার। বাংলা ট্রিবিউনকে শামীম বলেছেন, ‘পরিবারের সবাই খুব খুশি। মা-বাবাতো সবচেয়ে বেশি খুশি। খুশি না হয়ে কি পারে? দল ঘোষণার আগেই জানতে পেরেছিলাম, সুযোগ হতে পারে। আসলে সুযোগটাইতো বড় নয়, কাজে লাগানোটাই বড়। নির্বাচকরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, আমাকে অবশ্যই সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে।’

ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পথে বাবার চেয়ে চাচা আনোয়ারের সমর্থনকেই বেশি স্মরণ করেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এই অলরাউন্ডার। সবসময়ই শামীমের পাশে ছিলেন চাচা। পাশাপাশি চাচাতো ভাইদেরও সহযোগিতা পেয়েছেন। স্থানীয় ক্রিকেটে শামীমের আশাজাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখে তারাই তাকে ভর্তি করে দেন ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমিতে। সেখান থেকেই শামীমের ঠিকানা হয় দেশের ক্রিকেটের সূতিকাগার বিকেএসপি। এমন খুশির দিনে চাচাকেও স্মরণ করলেন শামীম, ‘চাচা অনেক খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ, যারা আমাকে ক্রিকেটার হয়ে উঠতে সহায়তা করেছেন। আমার শৈশবের কোচ, বিকেএসপির কোচ যারা আছেন, সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।’

 /এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
চট্টগ্রামে লরি চাপায় মৃত্যু বেড়ে তিন
রাজধানীতে রিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে রিকশাচালকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, স্বামীর লাশ উদ্ধার
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, স্বামীর লাশ উদ্ধার
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
নির্মাণের উদ্দেশ্যে ভালো সড়ক কেটে ২ বছর ধরে খাল বানিয়ে রেখেছে
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক