অতীত ইতিহাস পাল্টানোর মিশন নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর গিয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু এবারও একই পরিণতি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) শুরু হয়েছে অ্যান্টিগা টেস্ট। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের সকাল ভুলে যেতে চাইবেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তারপরও যে স্কোর তিন অঙ্কের ঘরে গিয়েছে, সেটির পুরো কৃতিত্ব সাকিব আল হাসানের। দলীয় ১০৩ রানে তার অবদান ৫১। বাকিদের ছয়জন রানের খাতাই খুলতে পারেননি! অথচ ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই অবস্থায় আজ (শুক্রবার) দ্বিতীয় দিনে নতুন শুরুর আশায় বাংলাদেশ। যেখানে দুটো ‘অপশন’ দেখছেন সাকিব।
দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী হবে, সংবাদ সম্মেলনে সেটি জানিয়ে গেছেন সাকিব। তিনি বলেছেন, ‘দলের দুটি অপশন আছে। আমরা ছেড়ে দিয়ে খেললাম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওদের মতো যত ইচ্ছা রান করলো। আর আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করলাম এবং শেষ হয়ে গেলো ম্যাচ।’
এ তো গেলো প্রথম অপশন, দ্বিতীয়টি কী? বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক বললেন, ‘আরও একটি অপশন হচ্ছে- একশ-দেড়শ-দুইশ, এমনকি আড়াইশ রানের মধ্যে তাদের যদি প্রথম ইনিংসে অলআউট করতে পারি। তখন আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করি, তাহলে শেষ ইনিংসে কী হতে পারে তা আমরা জানি না। প্রতিদিনই নতুন। সেই একটা সুযোগ আমাদের কাছে আছে।’
বোলারদের চেষ্টায় তৃপ্ত সাকিব। কিছুটা আক্ষেপও আছে হাফ চান্সগুলো কাজে লাগাতে না পারায়, আমি খুশি যে এটাকে পুরো দল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এবং চেষ্টা করছে ভালো বোলিং করতে। আজকের (প্রথম) দিনে আমি খুব খুশি। কিছু হাফ চান্স ছিল, ওগুলো আমরা নিতে পারলে পেসারদের জন্য দারুণ দিন হতে পারতো।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘এমনটা আমরা বেশ কিছুদিন ধরে পাইনি। সব মিলিয়ে পেস ইউনিট খুব ভালো বল করেছে। তিন পেসারই ভালো বল করেছে। আমি মনে করি, তারা একটু আনলাকি ছিল যে আরও ২টি উইকেট তারা পেতে পারতো। সেটা হলে আমরা মোটামুটি একটা ভালো অবস্থানে থাকতাম। ১০০ রানে ৪ উইকেট থাকলে কালকে (আজকে) আমরা আর ১০০ রানের মধ্যে অলআউট করে দিতে পারতাম, তাহলে আমরা ম্যাচে থাকতে পারতাম।’
সব মিলিয়ে সাকিব আশাবাদী দ্বিতীয় দিন সকালে জ্বলে উঠবেন তার বোলাররা, ‘এখনও যে হবে না (ম্যাচে টিকে থাকা নিয়ে) তা আমরা বলছি না। হতে পারে। কিন্তু ওদের কয়েকজন ব্যাটার রয়েছে, কালকে (শুক্রবার) এসেও আমাদের একই কাজ করতে হবে। আমাদের বোলারদের চ্যালেঞ্জ হবে, যেহেতু উইকেটটা ভালো হবে। এখন বিষয় হলো, আমরা কতটা গোছালো বল করতে পারি।’