প্রথম ম্যাচ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও টপ অর্ডাররা আবারও ব্যর্থ হয়েছেন। ৬৯ রানে টপ অর্ডারের ৬ ব্যাটারকে হারিয়ে দ্রুতই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সপ্তম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের অবিচ্ছিন্ন জুটি বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ৪৫ ওভার শেষে ৬ উইকেটে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ২০৩ রান।
প্রথম ম্যাচ জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তিনি ব্যাট করছেন ৬৫ রানে। মাহমুদউল্লাহও ৬৫ রানে ব্যাটিং করছেন।
৬৬ থেকে ৬৯ অর্থাৎ ৩ রানের মধ্যে বাংলাদেশ দল সাকিব, মুশফিক ও আফিফের মতো গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটারকে হারিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ে গিয়েছিল। সেখানে থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্বটা নেন মাহমুদউল্লাহ-মিরাজ জুটি। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজকে নিয়ে শেষ উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ে দলকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েছেন মিরাজ। বুধবার মাহমুদউল্লাহকে নিয়েও পালন করছেন গুরুদায়িত্ব। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন অফস্পিনিং অলরাউন্ডার। ৫৫ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে মিরাজ ৫০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি অস্বস্তি কাটিয়ে স্বস্তিও ফিরিয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে।
যদিও দিনের শুরুতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর বার্তা দিচ্ছিলেন এনামুল। দ্বিতীয় ওভারে প্রথম বলে ফ্লিক করে চার মেরেছেন। দ্বিতীয় বলে ড্রাইভ করে পেয়েছেন আরও একটি। দারুণ শুরুর পর একই ওভারে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। চতুর্থ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। পরের বলে অবশ্য সাজঘরে ফিরতে হয়েছে।মোহাম্মদ সিরাজের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন। ফেরার আগে ৮ বলে ২ চারে করেছেন ১১ রান।
এরপর শান্ত-লিটন মিলে ইনিংস এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দশম ওভারে সিরাজের বলটি লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন। আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা লিটন এদিন ২৩ বলে ৭ রান করেছেন। তাতে পাওয়ার প্লেতে পড়েছে ২ উইকেট।
নাজমুল শান্ত-সাকিব আল হাসান মিলে কিছুক্ষণ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় থাকলেও সেটি উমরান মালিকের গতির সামনে টেকেনি। ৩৫ বলে ৩ চারে ২১ রান করা শান্তর স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ভারতের এই পেসার।
শ্লথ গতিতে খেলা ও উমরানের গতির কাছে পরাস্ত সাকিবও ফিরে যান একটু পর। ২০ বলে ৮ রান করা ব্যাটারকে দেখে মনে হচ্ছিল উমরানের বাউন্সারগুলো তাকে ভালোভাবেই আঘাত করেছে। ওয়াশিংটনের বলে পরে ধাওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের ইনিংস।
চাপে পড়ে যাওয়া মুহূর্তে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেনও দলের ত্রাতা হতে পারেননি। ওয়াশিংটনের ঘূর্ণিতেই দু’জন পর পর সাজঘরে ফিরেছেন। মুশফিক সামনে এসে ব্লক করতে গেলে বল গ্লাভস ছুঁয়ে উপরে উঠলে তা জমা পড়েছে শিখর ধাওয়ানের হাতে। পরের বলে তো আফিফ বোল্ড হয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে মুশফিক ২৪ বলে ১২ রান করেছেন।
