পাঞ্জাবের বিপক্ষে আইপিএলে অল্পের জন্য রেকর্ড ভাঙা হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। টস হেরে ব্যাট করে আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরের নজির গড়েছে তারা। ৫ উইকেটে সংগ্রহ করেছে ২৫৭ রান। আর ৭ রান হলেই ২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর করা ২৬৩ রানের রেকর্ড তারা ভাঙতে পারতো। সেবার ক্রিস গেইলের বিস্ফোরক ১৭৫ রানের ইনিংসে গড়া দলীয় স্কোরটি আইপিএলের ইতিহাসে এখনও সর্বোচ্চ। রেকর্ড গড়া স্কোরবোর্ড উপহার দিতে আজ ৪১টি বাউন্ডারি (২৭টি চার ও ১৪টি ছয়) মেরেছে লখনউর ব্যাটাররা। যা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৪২টি বাউন্ডারিতে (২১টি চার, ২১টি ছয়) চূড়ায় আছে বেঙ্গালুরু। রেকর্ড ইনিংসের পর অবশ্য তাদের কাছে পাত্তা পায়নি পাঞ্জাব কিংস। বিশাল রান তাড়ায় ৫৬ রানে হার মেনেছে। পাঞ্জাব ১৯.৫ ওভারে ২০১ রানেই গুটিয়ে গেছে।
অবশ্য হেরে গেলেও রেকর্ডের পাতায় উঠেছে পাঞ্জাবের নাম। টুর্নামেন্টে দুটি দল-ই দুইশ রান অতিক্রম করেছে। তাতে এই প্রথম দুই দলের স্কোর মিলিয়ে এমন হাইস্কোরিং ম্যাচের নজির তৈরি হলো আইপিএলে।
স্কোর: লখনউ: ২৫৭/৫
পাঞ্জাব: ১৯.৫ ওভারে ২০১
ফল: লখনউ ৫৬ রানে জয়ী।
বড় স্কোরের বিপরীতে ব্যাটে যেমন বারুদ দরকার ছিল তার প্রদর্শনী করেছেন শুধু অর্থব তাইদে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে একমাত্র হাফসেঞ্চুরি ইনিংস ছিল শুধু তারই। ৩৬ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬৬ রান করেছেন। তাছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে সিকান্দার রাজার ব্যাট থেকে। অথর্বের আউটের পর তখনও তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ ওভারে ১৩১! কিন্তু পরের ব্যাটাররা সেভাবে বারুদে ব্যাটিং করতে পারেননি। তবু লিয়াম লিভিং স্টোন (২৩), স্যাম কারান (২১) ও জিতেশ শর্মার (২৪) ঝড়ো গতির ব্যাটিংয়ে স্কোর দুইশ ছাড়িয়েছে।
লখনউর হয়ে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন পেসার যশ ঠাকুর। ৩০ রানে ৩টি নেন নাভিন উল হক। তাছাড়া ৪১ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন রবি বিষ্ণয়।
টিম স্কোরিংয়ে ইতিহাস গড়তে না পারলেও আইপিএলে লখনউর সর্বোচ্চ স্কোর পেতে বেশি অবদান কাইল মেয়ার্স ও মার্কাস স্টয়নিসের। লোকেশ রাহুল ১২ রান করে ব্যর্থ হলে মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন আরেক ওপেনার কাইল মেয়ার্স। ঝড়ের শুরুটা করেন তিনি। সঙ্গ দিয়েছেন আইয়ুশ বাদোনি। মেয়ার্স ফেরার আগে ২৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৫৪ রান করেছেন। তার বিদায়ের পরও রানের চাকা সমৃদ্ধ করতে অবদান রেখেছেন বাদোনি। স্টয়নিসের সঙ্গে ৪৭ বলে ৮৯ রানের বিস্ফোরক জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন। ফেরার আগে ২৪ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৩ রান করেছেন বাদোনি। তবে রান পাহাড়ে চড়তে বড় ভূমিকা ছিল অজি তারকা মার্কাস স্টয়নিসের। ৪০ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭২ রানে পাঞ্জাবের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছেন। ম্যাচসেরাও তিনি। স্টয়নিস যখন আউট হন, তখনই স্কোর হয়ে গেছে ২৩৯! শেষ দিকে ইনিংস সমৃদ্ধ করতে নিকোলাস পুরানও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছেন। পঞ্চম উইকেট হিসেবে ফেরার আগে ১৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রানে অবদান রাখেন তিনি।
পাঞ্জাবের হয়ে ৫২ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা। একটি করে নিয়েছেন আরশদীপ সিং ও স্যাম কারান। বল হাতে বাজে দিন কাটানো দলটির হয়ে একমাত্র রাহুল চাহার ছাড়া বাকি বোলাররা ওভার প্রতি রান দিয়েছেন দশের ওপর!
এই জয়ে টেবিলে চার থেকে দুইয়ে উঠে এসেছে লখনউ। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ১০। সমান পয়েন্ট হলেও শ্রেয়তর রান রেটে তাদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে আছে রাজস্থান।