নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির খুব কাছেই ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানে আক্ষেপ নিয়ে আউট হয়েছেন। তরুণ ওপেনারের সেঞ্চুরির আক্ষেপ থাকলেও দলে অবদান রাখতে পেরে সন্তুষ্টি ঝরেছে তার কণ্ঠে। মঙ্গলবার প্রথম দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন তরুণ এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
মঙ্গলবার ১৪ রানের জন্য শান্ত সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন। ফেরার আগে ১৬৬ বলে ১১ চারে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
সেঞ্চুরি না পেলেও শান্ত এবং মুমিনুলের সঙ্গে দারুণ দুটি জুটি গড়ে দলের স্কোরকে ৩০০ রানে পৌঁছাতে অবদান রেখেছেন। দিন শেষে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও মনের মধ্যে সন্তুষ্টিও কাজ করছে জয়ের, ‘আমার বড় ইনিংস করার সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত মিস করে ফেলছি। সবাই মোটামুটি ভালো শুরু করছিল। কিন্তু ইনিংসটা বিল্ড আপ করতে পারেনি; যা আক্ষেপের ব্যাপার। আরেকটা ব্যাপার হলো আমাদের স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান আছে। এখনও একটা ভালো পজিশনে আছি।’
সেঞ্চুরি মিস হওয়া নিয়ে জয় আরও বলেছেন, ‘ওপেনার হিসেবে আমার প্রতিদিন সুযোগ আসে না সেট হওয়ার। একটা ইনিংসে আমি মিস করছি। ইনশাল্লাহ চেষ্টা করবো যে সামনে আরও ভালো করতে।’
সাড়ে তিনশ প্লাস রানের লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমেছিল। প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩১০ রান। বাকি এক উইকেটে নতুন দিনে বাংলাদেশ কতদূর যেতে পারবে, সেটাই এখন দেখার। তার পরেও এই স্কোর নিয়ে জয় আত্মবিশ্বাসী। কারণ, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল ৩৫০-৩৮০ রান করার। এই রানটা হলে খুব ভালো হবে। এখন চেষ্টা করবো, আমাদের যে কোয়ালিটি স্পিনার আছে ওই রানের মধ্যে আটকে রাখতে। ভালো জায়গায় বোলিং করতে পারলে ওদের কম রানে অলআউট করা যাবে।’
প্রায় সব ব্যাটারই দারুণ শুরু পেয়েছিলেন। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেনি। কেন এমন অবস্থা এর ব্যাখ্যায় জয় বলেছেন, ‘আপনি যদি নিজের ডিফেন্সের ওপর বিশ্বাস করেন… শান্ত ভাই তার ন্যাচারালে ছিল, আমি আমার ন্যাচারালে ছিলাম। সোহান ভাই সোহান ভাইয়ের ন্যাচারালে ছিল, সো একেক জনের গেম প্ল্যান একেক রকম ছিল।’