সিলেট টেস্টে নিশ্চিতভাবেই চালকের আসনে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ২০৫ রানে এগিয়ে তারা, হাতে আছে এখনও সাত উইকেট। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে থাকার কথা। কিন্তু সিলেটের রহস্যময় উইকেটে কিছুটা দুশ্চিন্তায় টিম বাংলাদেশ। কেন না বাংলাদেশ দল বুঝতে পারছে না, এখানে আসলে কত রান নিরাপদ।
ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মুমিনুল হক। দলের লক্ষ্য নিয়ে সংবাদ সম্মেলন তেমন কিছু বললেন না সাবেক টেস্ট অধিনায়ক, ‘এটা (টার্গেট কত দিলে নিরাপদ) বলাটা খুব কঠিন। আমার কাছে এখনও মনে হচ্ছে উইকেট ভালো। কত রান নিরাপদ এটা বলা অনেক কঠিন। ৪০০-ও হতে পারে, ৩৫০-ও হতে পারে। কালকের (শুক্রবার) খেলার ওপর নির্ভর করে। কাল চতুর্থ দিন, অন্যরকম আচরণ করতে পারে (উইকেট)। চারশ হলে ঠিক আছে…।’
তবে মুমিনুলের বিশ্বাস এই ম্যাচে ফল হবে, ‘ম্যাচে ফল হবে। এজন্য স্বাভাবিক ক্রিকেট খেললেই ভালো। যত পারা যায় ওদের দিক থেক খেলা নিয়ে আসতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটই এমন। ধৈর্য ধরে বোলিং করতে হবে। স্বাভাবিক ব্যাটিং করতে হবে।’
ব্যাটিংয়ে বড় স্কোর করতে না পারলেও বোলিংয়ে দলে দারুণ অবদান রেখেছেন মুমিনুল। আগের দিন গ্লেন ফিলিপস ও কেন উইলিয়ামসনের গুরুত্বপূর্ণ জুটি ভেঙেছেন। আজ নিয়েছেন শেষ দুটি উইকেট। নিজের বোলিং নিয়ে মুমিনুল বলেছেন, ‘হয়ে গেছে (ম্যান উইথ গোল্ডেন আর্ম), এরকম কিছু না। (বোলিং) ওরকম ভাবনা ছিল না। অধিনায়ক চেয়েছে ভিন্ন কিছু করতে, যেটা আমার সময় আমি করতাম, করেছে। ও নিজে থেকে করেছে (বোলিংয়ে আনা)।’
বৃহস্পতিবার শান্তর সঙ্গে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন মুমিনুল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে সাজঘরে ফিরতে হয় এই মিডল অর্ডার ব্যাটারকে, করেন ৪০ রান। রান আউট হওয়া নিয়ে অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই তার, ‘(আউট) না, ভোগাচ্ছে না। ক্রিকেটে এটা হতেই থাকে, হবে। স্বাভাবিক। যতটুকু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আপনারাও জানেন, আমি এসব নিয়ে মন খারাপ করি না। দলের জন্য যতটুকু অবদান রাখা যায়, এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’