আগামী মার্চ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। লম্বা সময় ধরে নির্বাচক প্যানেলে থাকা মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক হিসেবে বোর্ড সভাপতি লিপুর নাম ঘোষণার পর নান্নু এবং বাশার দুজনই ফোন করে তাকে অভিনন্দনে সিক্ত করেছেন। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নতুন দায়িত্ব পাওয়া লিপু নিজে।
আগামী দুই বছরের জন্য প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই মঙ্গলবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন লিপু। সেখানেই তিনি বলেছেন, ‘আমি এই পদে নিয়োগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি (নান্নু) আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। (বাশার) সুমনও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।’
ক্লাব ক্রিকেটে আগে ভক্ত-সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-উন্মাদনা ছিল অন্য পর্যায়ের। যেটি এখন আর দেখা যায় না। মোহামেডান-আবাহনী ক্লাবের সমর্থকরা দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে মারামারি করতো। পুরোনো সেই স্মৃতি মনে করে লিপু বলেছেন, ‘আমরা যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতাম, তখন অনেক দর্শক আসতো। প্রতিদিনই আমাদের গালি খেতে হতো। মোহামেডান হেরে গেলে আমাদের সমর্থকরাও গালমন্দ করতো। আমরা যে পদে থাকবো, সেখানেও (গালি) খেতে হবে। আমাকে আমার বিবেকের কাছে স্বচ্ছা থাকলেই হবে, আমি মনে করি এটা খুব একটা কঠিন ব্যাপার না।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের সাথে বসবেন বলে জানিয়েছেন লিপু, ‘আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে অবশ্যই বসবো, পরিচয় হবে। এখানে তামিমদের আমি চিনি, সবার সঙ্গে পরিচয় আছে। নতুন অনেকের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। তাদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ও কথা বলার চেষ্টা করবো।’
কোচের সঙ্গে কোনও মতপার্ধক্য হবে না বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক, ‘কোচের সঙ্গে আমারও দেখা হয়নি। নিশ্চয় কোচের সঙ্গে দেখা হলে মত বিনিময় হবে। তার ফিলোসফিটা আমিও জানতে পারবো। আমি কী ফিলোসফি নিয়ে এসেছি, সেটাও সে জানতে পারবে। দুজনের বা পুরো দলের সবারই একই লক্ষ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল যেন ভালো রেজাল্ট করে, ভালোভাবে পারফর্ম করে।’
গত বছর ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ৯ ম্যাচের মাত্র দুটিতে জিতে ব্যর্থ মনোরথে দেশে ফেরে সাকিব আল হাসানরা। এমন ব্যর্থতায় ক্রিকেটার, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়। সবচেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হয় নির্বাচক প্যানেল। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান নির্বাচক নান্নু ও নির্বাচক বাশারের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি বাড়ায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন করে নির্বাচক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় হান্নান সরকারকে। আর প্রধান নির্বাচক পদে যুক্ত করা হয় সাবেক পরিচালক লিপুকে।