শুক্রবার চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডিংয়ের সময় ডাইভ দিতে গিয়ে পাঁজরে ব্যথা পান তাসকিন আহমেদ। ব্যথা না কমায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাকে নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেয়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তার পাঁজরে স্ক্যান করানো হবে। সোমবার সকালে স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে তাসকিনের ইনজুরির অবস্থা কতটা গুরুতর।
তবে তাকে নিয়ে তৎপর বিসিবি। ইনজুরি থেকে দ্রুততম সময়ে সারিয়ে তুলতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে প্রস্তুত বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
চলমান সিরিজে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন তাসকিন। ৪ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজ সেরা। রবিবার মাঠ ছাড়ার আগেও তাসকিন গণমাধ্যমকে নিজের ইনজুরি নিয়ে বলেছেন, ‘এখনও কিছুটা ব্যথা আছে। হাসপাতালে যাচ্ছি। ওখানে স্ক্যান করানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার আগে তো কিছু বলা সম্ভব নয়। হয়তো ফিফটি ফিফটি চান্স আছে।’
চোট প্রবণতার কারণে তাসকিন টেস্ট থেকে নিয়েছেন লম্বা বিশ্রাম। বিশ্বকাপ থেকে ভুগছিলেন কাঁধের চোটে। শেষ দিকে কয়েক ম্যাচ খেলেছেন এই চোট নিয়েই। আরও একটি বিশ্বকাপ যখন সামনে, তখন ফের ইনজুরির মুখে তাসকিন। এই ইনজুরি থেকে সুস্থ হতে সাধারণত তিন থেকে চার সপ্তাহ লাগে। সেই হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু হতে তিন সপ্তাহ বাকি। তবে এতটুকু নিশ্চিত যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলা হচ্ছে না তাসকিনের।
তাসকিনের ইনজুরি নিয়ে বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আজকেই আমরা খোঁজ নিয়েছি, ওর একটা ইনজুরি আছে। কালকে (সোমবার) সকালে রিপোর্ট পাওয়ার পর দেখতে হবে যে, কতদিন ওর লাগতে পারে (ফিট হতে)। দ্রুত ওকে সারিয়ে তোলার সুযোগ আছে কি না। সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহের বিরতি দেবে। যদি এটা দুই সপ্তাহ হয়, তাহলে কী করবো, তিন সপ্তাহ হলে কী করবো, এটা (সুস্থ করার প্রক্রিয়া) দ্রুত করার কোনও উপায় আছে কি না.. দরকার হলে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবো। এখনই যোগাযোগ করবো। যদি দ্রুত সারিয়ে তোলা যায়, তাহলে এক ব্যাপার, আর যদি দেখা যায় যে আসলেই দেরি হবে, তাহলে আমাদের অন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তবে সবকিছুই আসলে বোঝা যাবে সোমবার স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর। পাপন বলেছেন, ‘কালকে অফিসিয়ালি রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবো।’