চেন্নাইয়ের আকাশে আতশবাজির ঝলকানি। কিন্তু সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সেই রঙ বেরঙয়ের আলো বেদনার তীর হয়ে বিদ্ধ করছিল। তাদের জন্য এই রাতটা যে দুঃস্বপ্নের। পুরো টুর্নামেন্টে দলের সাফল্যে নেচে, লাফিয়ে উদযাপন করে নেটিজেনদের আলোচনায় আসা হায়দরাবাদের মালিক কাব্য মারান চোখের জল আটকাতে না পেরে পেছন ফিরে গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে থাকলেন, যেন তাকে কাঁদতে কেউ না দেখে!
অন্যদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড় ও দর্শকদের মনে আনন্দের ঢেউ বইছে। অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার একটি স্টাম্প তুলে নিলেন স্যুভেনির হিসেবে, তার মুখে চওড়া হাসি। গৌতম গম্ভীরকে উঁচু করে তুলে ধরলেন সুনীল নারিন, কলকাতার মেন্টরও একই প্রতিক্রিয়া দেখালেন। আন্দ্রে রাসেলের চোখ বেয়ে নামছিল আনন্দ অশ্রু।
ম্যাচ শেষ হতেই হার্শা ভোগলে নেমে গেছেন মাইক্রোফোন হাতে। জানতে শুরু করেছেন বিজয়মালা গলায় পরা সবার প্রতিক্রিয়া। শুরুতেই হার্ষিত রানা বললেন, ‘ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা খুবই খুশি।’
মেন্টর গৌতম গম্ভীরের একটি মেসেজের কথা প্রকাশ করলেন নিতিশ রানা, ‘যখন গৌতম গম্ভীর আমাদের মেন্টর হিসেবে চুক্তি করেছিলেন, আমি তাকে হোয়াটসঅ্যাপে অভিনন্দন জানিয়ে মেসেজ করেছিলাম। তিনি আমাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন, কিন্তু বলেছিলেন, তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হবেন যখন আমরা পোডিয়ামে ট্রফি উঁচিয়ে ধরবো। ওই মেসেজ আমি সারাজীবন মনে রাখবো।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনও ভাষা আমার জানা নেই। এটা অনেক কিছু। ভক্তরা আমাদের পুরো মৌসুমজুড়ে সমর্থন দিয়ে গেছে। আমরা খেলোয়াড়রা ম্যাচ ধরে ধরে খেলি এবং নিশ্চিত করি যেন দায়িত্ব পালন করতে পারি। এবং এই প্রথমবার আমরা সত্যিকারের বিজয় উদযাপন করছি, আমি মনে করি এটাই সঠিক সময়। আমি খুশি যে আমাদের সবাই খুব শৃঙ্খলিত ছিল এবং সবার লক্ষ্য ছিল এক। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি আমার জন্য অনেক কিছু করেছে, ফিটনেস ও অন্য সব ক্ষেত্রে। আমাদের পক্ষ থেকে এটা তাদের জন্য বড় উপহার। আমি খুব খুশি।’