টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ের মতো শক্তিশালী দল ছিল। লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাদের ছাপিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে উগান্ডা। নবাগত এই দলটি তাদের ‘পুরো দেশের আশা পিঠে নিয়ে’ পা রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সোমবার প্রোভিডেন্সে তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ তারকাখচিত আফগানিস্তান। রশিদ খানের দলকে কি তারা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিশ্বকাপে বড় ছাপ রাখতে পারবে? বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় হবে এই লড়াই।
এই আফগানিস্তান গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে চমকে দিয়েছিল। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছিল প্রতিযোগিতা। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দানবীয় ব্যাটিং না করলে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আরেকটি অঘটনের জন্ম দিতে পারতো তারা। আর উগান্ডার মতো দলকে তো উড়িয়ে দিয়েই বিশ্বকাপ শুরুর কথা আফগানদের। কারণ কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে হলে শুরুর দিকেই বড় জয় পেতে হবে, নয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুই গ্রুপ ম্যাচে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে তাদের। দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি।
রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের কাছ থেকে দারুণ শুরুর আশা করবে আফঘানিস্তান। স্পিনত্রয়ী রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও মুজিব উর রহমান কব্জির ঘূর্ণিতে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাইবেন। পেস আক্রমণে আছেন ফজল হক ফারুকী ও নাভিন উল হক। উদীয়মান তারকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই আছেন। টি-টোয়েন্টিতে শক্ত লড়াইয়ের জন্য যা উপাদান থাকা দরকার, তার সবই আছে আফগানদের।
কিন্তু উগান্ডার বিপক্ষে সতর্ক থাকতে হবে আফগানিস্তান ব্যাটারদের। কারণ প্রতিপক্ষ দলে তিন জন বাঁহাতি স্পিনার। নাজিবউল্লাহ জাদরান ছাড়া অন্য কোনও বাঁহাতি ব্যাটার শুরুতে নেই তাদের। তাছাড়া উগান্ডার বৈচিত্রময় বোলিং আফগানিস্তানকে চমকে দিলেও দিতে পারে।
আফ্রিকা বাছাইয়ে জিম্বাবুয়েকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে উগান্ডা। প্রথমবার কোনও পূর্ণ সদস্য দেশকে হারিয়েছে এবং এটাই তাদের আশার আলো দেখাচ্ছে মূল মঞ্চে বড় ছাপ রাখার ব্যাপারে।
উগান্ডার ব্যাটার রজার মুকাসা, অলরাউন্ডার রিয়াজাত আলী শাহ ও আলপেশ রামজানি এবং বাঁহাতি স্পিনার হেনরি সেনিওন্দো নিয়মিত পারফর্মার।
তাছাড়া উগান্ডা চাইলে অতীত থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে, ২০০৯ সালের ম্যাচ থেকে। বিশ্ব ক্রিকেট লিগের তৃতীয় বিভাগের খেলায় সেবার ১৪ রানে আফগানদের হারিয়েছিল আফ্রিকানরা।