২০০৩ সালে পচেফস্ট্রুমে ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষবার আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নামিবিয়া। রিকি পন্টিংয়ের দল ওই ম্যাচে ধসিয়ে দিয়েছিল নামিবিয়াকে। ৩০১ রানের বিশাল সংগ্রহের পর গ্লেন ম্যাকগ্রার আগুন বোলিংয়ে ৪৫ রানে তাদের অলআউট করে অস্ট্রেলিয়া। কেটে গেছে ২১ বছর! আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় অ্যান্টিগায় মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। শক্তিমত্তায় দুই দলের তফাত এতটুকু ঘোচেনি। ধারণা করা যায়, এবারও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে নামিবিয়া।
যোজন যোজন পেছনে থাকা নামিবিয়াকে হারাতে পারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এবার সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। ওমানকে সহজে হারানোর পর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের দম্ভ চূর্ণ করে নামিবিয়ার সামনে দাঁড়াচ্ছে অজিরা। শেষ ম্যাচ তারা খেলবে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। আগামী রবিবারের ম্যাচের জন্য অপেক্ষা না করে নামিবিয়ার সঙ্গে খেলা শেষেই পরের পর্বের টিকিট নিশ্চিত করতে চায় মিচেল মার্শের দল।
তাই তো দুর্বল প্রতিপক্ষ হলেও বেঞ্চ শক্তি পরীক্ষা করতে নারাজ অস্ট্রেলিয়া। সেরা একাদশ নিয়েই নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে তারা, বলেছেন প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড।
ওমানের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া ম্যাচে সুপার ওভারে জিতে বিশ্বকাপ শুরু করে নামিবিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা কোনও সুযোগই পায়নি। স্কটল্যান্ডের কাছে হেরেছে পাঁচ উইকেটে। তাদের অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমুস। ১৫৫ রানের সংগ্রহকে ডিফেন্ড করার মতো মনে করলেও হারের জন্য ফিল্ডিংকে দুষেছেন। এবারও অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করার মতো স্কোর গড়ে ফিল্ডিংয়ের ঘাটতিগুলো পুষিয়ে লড়াই করতে চান তিনি।