প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে সুপার এইট থেকে অনেকটা দূরে সরে যায় প্রায় প্রতি আসরে সেমিফাইনাল খেলা দলটি। আগের ম্যাচে দুর্বল উগান্ডার বিপক্ষে নিজেদের শক্তি দেখানোর পর আজ (সোমবার) পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষেও জিতেছে কিউইরা। ৭ উইকেটে এই ম্যাচ জিতলেও বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দলকে।
সোমবার (১৭ জুন) আগে ব্যাটিং করে পাপুয়া নিউগিনি ৭৯ রানের লক্ষ্য দেয় নিউজিল্যান্ডকে। সেই লক্ষ্য ৪৬ বল আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে কিউইরা। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সবগুলো ওভার মেডেন নিয়ে ইতিহাস তৈরি করে কিউই পেসার লকি ফার্গুসন হয়েছেন ম্যাচ সেরা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটি ওভার মেডেন দেওয়া মানেই অনেক কিছু। সেখানে চার ওভার মেডেন দিয়েছেন লকি ফার্গুসন। ৪ ওভারে কোনও রান খরচ না করে তিন উইকেট নিয়ে পাপুয়া নিউগিনিকে ৭৮ রানে থামিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর এতেই বিশ্বকাপের প্রথম বোলার হিসেবে এই কীর্তি গড়ে ইতিহাসে নাম লেখালেন কিউই এই পেসার।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে নিউজিল্যান্ড ও পাপুয়া নিউগিনির ম্যাচটি কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। টস জিতে প্রথম বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কিউই অধিনায়ক পিএনজির ওপর প্রথম থেকেই চাপ সৃষ্টি করে। শুধু ফার্গুসন নয়, বাকিরাও চমৎকার বোলিং করেছেন। টিম সাউদি ৪ ওভারে ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ২ উইকেট। বিশ্বকাপে নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এছাড়া ইশ সোধি ২৯ রান খরচায় নেন ২ উইকেট।
পাপুয়া নিউগিনির ব্যাটারদের মধ্যে কেবল তিন জন দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। চার্লস আমিনি সর্বোচ্চ ২৫ বলে ১৭ রান করেছেন। নরম্যান ভানুয়ার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান এবং সেসে বেউরের খেলেছেন ১২ রানের ইনিংস।
৭৯ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ফিন অ্যালেন ২ বলে রানের খাতা না খুলে আউট হন। এরপর স্কোরবোর্ডে ২০ রান উঠতেই সাজঘরে ফেরেন রাচিন রবীন্দ্র (৬)। তৃতীয় উইকেটে ডেভন কনওয়ে ও কেন উইলিয়াসন মিলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলের স্কোরবে পঞ্চাশের ঘরে নিয়ে যান। কনওয়ে ৩২ বলে ৩৫ রান করে আউট হলেও উইলিয়াসন ও ড্যারিল মিচেল অবিচ্ছিন্ন ২৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। উইলিয়াসন ১৮ ও মিচেল ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।