ইতিহাসের পাতায় নাম লিখলেন প্যাট কামিন্স। তিন দিন না যেতেই টানা দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার। সুপার এইটে বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষেও পরপর তিন উইকেট নিলেন তিনি। পঞ্চম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন এই পেসার।
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার পর সেন্ট ভিনসেন্টে নিজের শেষ দুই ওভারে এই কীর্তি গড়েন কামিন্স। ১৮তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানকে লং অনে ক্যাচ বানান। শেষ ওভারের প্রথম বলে করিম জানাত ও পরেরটিতে গুলবাদিন নাইবকে ফেরান কামিন্স।
চার বলে চার উইকেট পেতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার, যে কীর্তি ২০২১ সালের বিশ্বকাপে গড়েছিলেন আয়ারল্যান্ডের কুর্টিস ক্যাম্ফার। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ডিপ স্কয়ারে নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতের ক্যাচ মিস করেন।
দুটি টি-টোয়েন্টি হ্যাটট্রিক করে কামিন্স লাসিথ মালিঙ্গা, টিম সাউদি, সার্বিয়ার মার্ক পাভলোভিচ, মাল্টার ওয়াসিম আব্বাসের সঙ্গে যোগ দিলেন। ২০২৩ সালে টানা দুই দিনে পাভলোভিচ দুই হ্যাটট্রিক করেন দ্রুততম সময়ে। ওই সময়ে তিন ম্যাচ খেলেন তিনি।
তবে টানা দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় খেলোয়াড় কামিন্স। ১৯৯৯ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। আর ১৯১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক টেস্টের দুটি ইনিংসেই হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার জিমি ম্যাথুজ, তাও একই দিনে।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দুটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি কেবলই কামিন্সের। বাংলাদেশের বিপক্ষেও শেষ দুই ওভার মিলে টানা তিন উইকেট নেন তিনি। ওই ম্যাচে শেষ ওভারের প্রথম বলে উইকেট নিলে যে হ্যাটট্রিক হবে, সেটা ভুলেই গিয়েছিলেন কামিন্স। আরেকটি হ্যাটট্রিকের পর সেই কথা মনে করিয়ে দিতেই তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, এটার কথা মনে ছিল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলার পর টানা দুইবার হ্যাটট্রিক পাওয়া দারুণ ব্যাপার।’
কিন্তু তার এই কীর্তি ম্লান হয়ে গেলো আফগানিস্তানের কাছে অস্ট্রেলিয়ার ২১ রানের হারে।