কোটা আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সামাজিক মাধ্যম। দেশের অনেক তারকাই শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সরকার দলীয় এমপি। কিন্তু তার আগে দেশের ক্রিকেটার। স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা আশা করছিলেন, দেশের সেরা ক্রিকেটার তাদের পক্ষ নিয়ে কিছু বলবেন। কিন্তু কিছুই বলেননি তিনি, উল্টো মঙ্গলবার রাতে বিবাদে জড়িয়েছেন।
কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে ম্যাচের পর কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে দর্শকের সঙ্গে তর্কে জড়ান সাকিব। সামাজিক মাধ্যমে এরই মধ্যে দর্শকের সঙ্গে সাকিবের বাগবিতণ্ডার মুহূর্ত ভাইরাল। ঘটনাটি নিয়ে কথা বলতে হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি)।
মিরপুরে আজ বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস ওই ঘটনা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন। ভিডিওটি তিনি দেখেননি বলে জানান। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেন, ‘আমি ভিডিওটা দেখিনি। আমার তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
তবে সাকিবের পাশেই থাকছেন জালাল, ‘সাকিবের অবদান নিয়ে প্রশ্ন করা উচিত ছিল না। সে (দর্শক) যদি ক্রিকেটে সাকিবের অবদানের প্রসঙ্গ উঠিয়ে থাকে, যেটা আমি শুনেছি, দেখিনি। আমরা, আপনারা সবাই জানি, সাকিবের অবদান কী। বাংলাদেশের ক্রিকেটে কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারের অবদান অবশ্যই অস্বীকার করা যাবে না।’
তাওহীদ হৃদয়, শরিফুল ইসলাম থেকে শুরু করে সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে কমবেশি ফেসবুকে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, বার্তা দিয়েছেন। প্রবাসেও বাংলাদেশের আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রাম্পটনে গত রাতে বাংলা টাইগার্স মিসিসাউগা-টরন্টো ন্যাশনালস ম্যাচ শেষে প্রবাসী এক বাংলাদেশি জানতে চান, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সাকিব কেন নীরব। অন্য এক ভক্তকে অটোগ্রাফ দেওয়ার পর প্রশ্ন করা দর্শকের দিকে এগিয়ে গিয়ে কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সাকিবের উত্তর, ‘দেশের জন্য আপনি কী করেছেন?’
বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল এ ব্যাপারে উত্তর দিয়েছেন কিছুটা কূটনৈতিক উপায়ে, ‘দেখুন, এটা সাকিবের ব্যক্তিগত ব্যাপার। সাকিব সেখানে কী বলেছে, আমি বলতে পারবো না। আমি যতটুকু জেনেছি, সাকিবের অবদানের কথা বলা হয়েছে বা ক্রিকেটের অবদান। কোন অবদান বোঝাতে চেয়েছে, সেটা আমি জানি না।’