বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ ছিলেন হাশান তিলকারত্নে। গত মাসে লঙ্কান এই কোচ দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। তার স্থলাষিভিক্ত হলেন নারী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ সারোয়ার ইমরান। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ক্রিকবাজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের কাছে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘তিলকারত্নে (হাশান) চলে যাওয়ার প্রেক্ষিতে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে আমরা ইমরানকে (সারোয়ার) নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
স্থানীয় কোচদের নিয়ে সবসময়ই আলোচনা হয়। তারা জাতীয় দলে কোচিং করানোর সুযোগ পান না। নতুন বোর্ড আসার পর এই জায়গাতে কাজ করছেন তারা। পুরুষদের জাতীয় দলে প্রধান কোচ হিসেবে স্থানীয় কেউ নিয়োগ না পেলেও সহকারী কোচ হিসেবে কিছুদিন আগেই মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এবার নারী দলে নিয়োগ দেওয়া হলো এক সময় পুরুষ দলে দায়িত্ব পালন করা সারোয়ার ইমরানকে।
স্থানীয় কোচ হিসেবে নারী দলে সারোয়ারকে নিয়োগ দেওয়ার ইস্যুতে ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলে স্থানীয়দের জায়গা করে দেওয়ার ব্যাপারে কথা দিয়েছিলাম। নারী দলের প্রধান কোচ হিসেবে সারোয়ার ইমরানের নিয়োগ সেটিরই অংশ। আমার মনে হয় তাদের যদি আমরা দায়িত্বই না দেই তাহলে কীভাবে বুঝবো তারা ভালো করছেন কি না।’
১৯৮৪ সাল থেকে ক্রিকেট কোচিংয়ে আসেন সারোয়ার। ২০০০ সালে তার অধীনেই নিজেদের প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পুরুষ জাতীয় দল। ২০০৩ সালে মহসিন কামালের চাকরিচ্যুতির পর অন্তর্বর্তী প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে সহকারী কিংবা প্রধান কোচ হিসেবেও পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের এই কোচ। এছাড়া বিপিএলসহ ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কোচিং করার অভিজ্ঞতা আছে তার। সবশেষ মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নারী দলেরও প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। এবার যুক্ত হলেন বড়দের কোচিংয়ে।