৫৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণার পর দ্বিতীয় দিনেই ইংল্যান্ড জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে অলআউট করে ফলো অনে ফেলেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে একই দিনে আরও দুটি উইকেট তুলে নেয় তারা। তৃতীয় দিনেই জয়ের সুবাস পাচ্ছিলো স্বাগতিকরা। কিন্তু নতুন দিনের প্রথম সেশনে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ানরা লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল। শোয়েব বশির তার ঘূর্ণি জাদু দিয়ে সফরকারীদের বশীকরণ করলেন। এদিন দুই সেশনের মধ্যে আফ্রিকান দেশকে অলআউট করে ট্রেন্ট ব্রিজে চার দিনের একমাত্র টেস্টে ইনিংস ও ৪৫ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড।
একদিন হাতে রেখে ইংল্যান্ডের জয়ে ছয় উইকেট নিয়েছেন বশির। এই স্পিনার ১৮ ওভার বল করে ৮১ রান দেন, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। ৭ রানে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেট হারানোর পর শন উইলিয়ামস ও বেন কারানের ১২২ রানের জুটি ভেঙেছেন তিনি। ২ উইকেটে ৩০ রানে শনিবারের খেলা শুরু করেছিল তারা।
লাঞ্চ বিরতির খানিক আগে উইলিয়ামসকে ১২ রানের আক্ষেপে ভাসান বশির। ৮২ বলে ১৬ চারে ৮৮ রানে এলবিডব্লিউ হন জিম্বাবুয়ের ব্যাটার। ওই একটি উইকেট হারায় তারা প্রথম সেশনে।
বিরতির পর ফিরে কারান ৩৭ রানে বশিরের দ্বিতীয় শিকার। এরপর সিকান্দার রাজা ও ওয়েসলি মাধেভেরের শেষ প্রতিরোধ। বেন স্টোকস ৬৫ রানের জুটি ভেঙে দেন। সেকেন্ড স্লিপে হ্যারি ব্রুক বাঁ দিকে অ্যাক্রোবেটিক ডাইভ দেন, তার উঁচু করা ডানহাতে বল আটকে যায়। তার এই অসাধারণ ক্যাচ যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না স্টোকস। মাধেভেরে ৩১ রান করে আউট হন। এই উইকেট পড়ার পর শুরু ধস।
বাকি সময়ে বশিরের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হওয়ার মাঝে সিকান্দার শুধু একাই লড়াই করেন। তাতে ইনিংস ব্যবধানে হারের আশা জেগেছিল। কিন্তু ৬৮ বলে ৬০ রানে বশিরের পঞ্চম শিকার তিনি।
দশম উইকেটে ভিক্টর নিয়াউচি ও তানাকা চিভাঙ্গার জুটি ভাঙলে ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়। চিভাঙ্গাকে নিজের ষষ্ঠ উইকেট বানান বশির। রিচার্ড এনগারাভা অ্যাবসেন্ট হার্ট থাকায় ২৫৫ রানে থামতে হয় সফরকারীদের।
ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন বশির।