গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরির প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দারুণ এক ক্যাচে ১৪৮ রানে থামে বাংলাদেশের অধিনায়কের ইনিংস। প্রথম দিনে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া শান্ত আজ ১২ রান যোগ করে আউট হয়েছেন। প্রায় দেড়শ রানের ইনিংসটি বাঁহাতি এই ব্যাটার খেলেছেন আঙুলে ব্যথা নিয়ে।
বুধবার ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। শান্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩৬ রানে। আসিথা ফার্নান্ডোর করা দিনের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি ম্যাথুজের হাতে। আর তাতেই লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটিটি (২৬৪) ভেঙে যায়। এটি দুজনের প্রথম তিন অঙ্কের জুটি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। শান্ত যেভাবে খেলছিলেন, তাতে করে ডাবল সেঞ্চুরি ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু তিনি সুযোগটি হেলায় হারান।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানালেন অজানা তথ্য, ‘(শান্তর) আঙুল অনেক ফুলে ছিল। সে আঙুলে ব্যথা নিয়েই খেলেছে। শান্ত অন্যরকম চরিত্র। অনেক শক্ত মানসিকতার ছেলে।’
নানা সময়ে ট্রলের শিকার হতে হয়েছে শান্তকে। তবুও সেসবকে পাত্তা না দিয়ে নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে যাচ্ছেন তিনি। শান্তর দৃঢ় মানসিকতা নিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘এত কিছুর পরও, এত ট্রলের পরেও মাথা যেভাবে ঠিক রাখে, অনেক ছেলেই হয়তো ধরে রাখতে পারবে না। মানসিকভাবে শক্ত অনেক। নেতা হিসেবে নিজের মানসিক দৃঢ়তাই তুলে ধরেছে। যেটা দলের বাকিদের কাজে দেবে।’
শান্ত ডাবল সেঞ্চুরি করার সুযোগ হারানোর পর মুশফিকের সুযোগ ছিল নিজের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি করার। কিন্তু তিনিও মিস করেছেন সুযোগটি। ৩৫০ বলে ৯ চারে ১৬৩ রান করে আউট হন উইকেট কিপার এই ব্যাটার। মুশফিকের ইনিংসে অধিকাংশ রান এসেছে দৌড়ে প্রান্ত বদল করে। ৩৮ বছর বয়সী এই ব্যাটারকে নিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘সে দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। তার অভিজ্ঞতা আছে। তার কাজের ধরনটা অসাধারণ। সবসময় উন্নতির চেষ্টা করে। ড্রেসিংরুমে সবসময় দৃঢ় মানসিকতা দেখায়। যেকোনও সিনিয়র খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এমনটাই আশা করা হয়ে থাকে।’
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরি থেকে ডাবল সেঞ্চুরি মিসের পর লিটন দাসও ৯০ রানে আউট হন। তার নার্ভাস এইট্টি-নাইনটি যেন কাটছেই না। এনিয়ে লাল বলে অষ্টমবারের মতো আশি-নব্বইয়ের ঘরে আউট হলেন তিনি। লিটনের ইনিংস নিয়ে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘পুরো ইনিংস লিটন কন্ট্রোলের (নিয়ন্ত্রণ) সঙ্গে খেলেছে, মাথা ঠান্ডা রেখে খেলেছে। আমার মনে হয়, পুরো ইনিংসে ওই একটা শটই সে খারাপ খেলেছে। ক্রিকেটে এটা হতে পারে। এখান থেকে সে আরও শিখবে। আমার বিশ্বাস সামনে লিটন আরও বড় ইনিংস খেলবে।’