গলে দারুণ ব্যাটিংয়ের পর কলম্বো টেস্টে কঠিন একটি দিন পার করেছে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২২০ রান। দলের কোনও ব্যাটারই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ইনিংসটি এসেছে সাদমান ইসলামের ব্যাট থেকে; ৯৩ বলে করেছেন ৪৬ রান। বুধবার প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাদমান জানিয়েছেন, দিনটা তাদের খারাপ ছিল। তবে তার যুক্তি, কেউ তো আর ইচ্ছে করে আউট হয় না। দিনটি খারাপ গেলেও সাদমান মনে করেন, প্রথম ইনিংসে ২৭০-৮০ রান ভালো সংগ্রহ হতে পারে।
প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা নিয়ে সাদমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘কেউ তো আর ইচ্ছে করে আউট হয় না। প্রত্যেকেই আমরা থিতু হয়ে আউট হয়েছি। এটা হয় তো আমাদের খারাপ দিন ছিল। ইনশাহআল্লাহ আমরা পরের ইনিংসে ভালোভাবে প্রত্যাবর্তন করবো। যদি ভালো জায়গায় বল করতে পারি, আমরা ভালোভাবে প্রত্যাবর্তন করবো।’
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলে মনে করেন সাদমান, ‘আমি এমন কিছু দেখিনি যে, টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। উইকেট আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো ছিল। হয় তো বা আমাদের আজকের দিনটা ছিল না। ইনশাহআল্লাহ পরের ইনিংসে ভালো একটা ইনিংস হবে। সবাই শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে। শটস না খেললে তো রান হবে না। গলেও আমরা মোটামুটি ভালোই শটস খেলেছি। ভালো বাউন্ডারি আসছে। আজকে সবাই... হয় তো দিনটা আমাদের ছিল না। শুরু থেকেই ভালো রান হচ্ছিল। আর একটু ভালো করা যেত সবারই। কেউ হয়তো বা সেট হয়ে আউট হয়েছে। তাতে করে রান বড় হয়নি। দেখা যাক কী হয়।’
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পেয়েছিল একাধিক ভালো শুরু—মুশফিক (৩৫), লিটন (৩৪), মিরাজ (৩১), মুমিনুল (২১)। কিন্তু কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। সাদমান স্বীকার করেছেন কিছু কিছু ভুল শট ছিল, ‘কিছু শট হয়তো ভুল ছিল। তবে উইকেট খুব ধীর গতির ছিল। সকালে বল খুব একটা নড়াচড়া করছিল না, তবু আমরা উইকেট দিয়ে এসেছি। আশা করি দ্বিতীয় ইনিংসে এমন হবে না।’
কলম্বোতে সাধারণ ব্যাটিং উইকেট হয়ে থাকে। কিন্তু সিংহলজি স্পোর্টস গ্রাউন্ডের উইকেট কিছুটা ধীরগতির। সাদমানের কাছে এই উইকেটে ২৭০-২৮০ রান নিরাপদ, ‘উইকেট একটু স্লো ছিল সত্যি কথা। আশা করি, ২৭০-২৮০ রান ভালো স্কোর প্রথম ইনিংসের জন্য। ক্রিকেট খেলায় যখন একটা ব্রেক আসে, তখন ব্যাটারদের জন্য আবার নতুন করে সেট হতে হয়।’
এদিকে, শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ থিলিনা কাণ্ডাম্বি জানান, এসএসসি-র উইকেটের আচরণ তাকে অবাক করেছে, ‘১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এমন উইকেট কমই দেখেছি। বাউন্স ছিল অনিয়মিত, বল থেমে আসছিল।’