ইউরোপের সবচেয়ে সফল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। ইতিহাস-ঐতিহ্যে ভরপুর এই দলের কোচ হওয়ার সুযোগ কেউ মিস করতে চাইবেন না নিশ্চয়? মাসিমিলিয়ানো আলেগ্রি কিন্তু সুবর্ণ এই সুযোগটি লুফে নেননি। রিয়ালের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেলেও তা প্রত্যাখ্যান করে জুভেন্টাসেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তাতে সামান্যতম আক্ষেপ বা আফসোস কিছুই নেই তার, কারণ জুভেন্টাসেই সুখে আছেন ইতালিয়ান কোচ। তুরিনে থেকেই নিজেকে প্রমাণ করার শপথ নিয়েছেন আলেগ্রি। তাই রিয়াল তার প্রতি আগ্রহ দেখালেও প্রাথমিক আলোচনা পর্যন্ত করেননি তিনি। এক ম্যাগাজিনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জুভেন্টাস কোচ জানিয়েছেন, রিয়ালের আগ্রহে তিনি গর্বিত হলেও তুরিনেই সুখে আছেন তিনি।
গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পরপরই রিয়ালের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান জিনেদিন জিদান। ফরাসি কিংবদন্তির বদলি হিসেবে রিয়ালের রাডারে ছিলেন আলেগ্রি। ৫০ বছর বয়সী এই কোচের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। যদিও তিনি ‘না’ করে দেওয়ার পর ‘লস ব্লাঙ্কোরা’ কোচের চেয়ারে বসিয়েছে জুলেন লোপেতেগিকে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের কোচের প্রস্তাব পাওয়ার পরও তা প্রত্যাখ্যান করার কারণ ব্যাখ্যায় আলেগ্রি বলেছেন, “রিয়াল মাদ্রিদকে ‘না’ বলেছি কারণ (জুভেন্টাস) সভাপতির সঙ্গে আমি অঙ্গিকারবদ্ধ।’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘তাছাড়া জুভেন্টাসের প্রতি আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা আছে। যে কারণে আমি রিয়াল মাদ্রিদের ডাক প্রত্যাখ্যান করেছি, যে ক্লাবটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও প্রত্যেকেই ওখানে কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখে।’
নিজের সিদ্ধান্তে তিনি তৃপ্ত, ‘মিথ্যা বলা হবে যদি আমি বলি তাদের (রিয়াল) বিবেচনায় আমার গর্ব হয়নি। তবে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলাম, সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তাহলে কি জুভেন্টাসের প্রতীক হয়ে উঠছেন ২০১৪ সালে এসি মিলান থেকে তুরিনের ক্লাবে নাম লেখানো আলেগ্রি? ইতালিয়ান কোচ সেই আলোচনাতে যেতেই রাজি নন, ‘আমি (জিয়ানলুইজি) বুফন কিংবা দেল পিরলোর মতো ক্লাবের প্রতীক কিনা? মোটেও তাদের সঙ্গে নিজেকে মেলাতে চাই না, কারণ এমন খেলোয়াড়দের কথা বলা হচ্ছে, যারা জুভেন্টাসের ইতিহাস লিখেছে।’
জুভেন্টাস টানা অষ্টম স্কুদেত্তো জয়ের মিশনে নামবে এবার। ২০১৮-১৯ মৌসুমে তাদের মিশন শুরু হচ্ছে ১৮ আগস্ট শিয়েভোর বিপক্ষে। গোল ডটকম