X
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
১ আষাঢ় ১৪৩২

ঠিকানা বদলেও চ্যাম্পিয়ন তারা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৭:৩৬আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:১২

৩১ বছর পর স্বাধীনতা কাপের ট্রফি জিতেছে আবাহনী লিমিটেড। মাঠে উৎসব করাটা তো তাদেরই সাজে। যার রেশ ছিল গভীর রাত পর্যন্ত।

এবার ঘরোয়া ফুটবলে নতুনভাবে দল সাজানোয় এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে নতুন রূপে ফিরতে যাচ্ছে আকাশি-নীল দল। তবে বসুন্ধরা কিংস থেকে ধানমন্ডির তাঁবুতে আসা তিন ফুটবলারের কাছে এ যেন বাড়তি আনন্দের মতো। ঠিকানা বদলেও যে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য তারা। মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ, দুই ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা ও নুরুল নাইম ফয়সাল বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে ৫টি ট্রফি জিতেছেন। কিন্তু তিন জনই অস্কার ব্রুজনের দলে সাইড বেঞ্চে থেকে বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন। খেলার সুযোগ সেভাবে পেয়েছেন কমই। এবার খেলার নিশ্চয়তা পেয়েই আকাশি-নীল জার্সিতে আলো ছড়িয়েছেন। স্বাধীনতা কাপের একাদশে থেকে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন।

ওই ৩ জনের মধ্যে অভিজ্ঞ ইমন মাহমুদ আগেও খেলেছেন আবাহনীতে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত খেলে ৫টি ট্রফি জেতার সুখস্মৃতি আছে তার। এবারের জয়ের প্রেক্ষাপট অবশ্য ভিন্ন। বাংলা ট্রিবিউনকে এমন প্রতিক্রিয়াই জানালেন এই ফুটবলার, ‘বসুন্ধরা থেকে এবার আবাহনীতে এসেছি টার্গেট নিয়ে। মাঠে খেলবো, খেলেই দলকে শিরোপা পাইয়ে দেবো। এর জন্য সবাই বেশ ইতিবাচক ছিল। এছাড়া জেদও ছিল। ওখানে সেভাবে খেলার সুযোগ হয়নি। এখানে শুরু থেকেই খেলেছি। সবার পরিশ্রমের কারণে আজ আমাদের সাফল্য। এ নিয়ে আবাহনীতে আমার ষষ্ঠ ট্রফি। তবে এবারের জয়টি অন্যরকম আমার কাছে।’

আবাহনী এবার স্থানীয়দের সঙ্গে উঁচুমানের বিদেশিও এনেছে। বসুন্ধরা কিংসে খেলা দানিয়েল কলিনদ্রেসের সঙ্গে এসেছেন রাফায়েল অগাস্তো, দোরিয়েন্তন ও মিলাদ শেখ সোলায়মানির মতো খেলোয়াড়। আবাহনীর জার্সিতে আবারও নিজেদের জাত চিনিয়েছেন তারা। তবে এত দ্রুততম সময়ে একটি দল হিসেবে গড়ে ওঠা যে সহজ হবে, এমনটা ভাবেননি ইমন। আবাহনীর পরিবেশকেই এর ‘মূল’ হিসেবে দেখছেন তিনি, ‘এত তাড়াতাড়ি সবাই আমরা গুছিয়ে নিতে পারবো তা চিন্তা করিনি। আসলে এই ক্লাবের পরিবেশই অন্যরকম। সবাই বেশ আন্তরিক। সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়। এই কারণেই সাফল্য এসেছে।’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ কামালের হাতে গড়া আবাহনীর অর্জন অনেক। ঐতিহ্যের দিক দিয়েও খুব সমৃদ্ধ। এমন দলের হয়ে প্রথমবারের মতো ট্রফি জিতে ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা বলেছেন, ‘আগে বসুন্ধরার হয়ে ট্রফি জিতেছি। এখানকার শিরোপা জেতার আনন্দটা অন্যরকম। ভালো লাগাটা অন্যরকম। জন্মলগ্ন থেকে দল ভালো করে আসছে। ঐতিহ্যের দিক দিয়ে আবাহনী অন্য সব দলের চেয়ে আলাদা। ফাইনালে যখন উঠি, তখন চিন্তা করেছি জিততে হবে। সেটা আমরা পেরেছিও।’
ফাইনালে চোট নিয়ে খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। এরপরেও দল যেন ট্রফি পায়, সেদিকে দৃষ্টি ছিল তার, ‘আত্মবিশ্বাস ছিল ওদের চেয়ে আমাদের দল ভালো। নিজের থেকে অন্যরকম তাড়না কাজ করেছে। যদিও আমার চোট ছিল তিন জায়গায়। খেলার কথাও ছিল না। সবার অনুরোধে ঝুঁকি নিয়েই খেলেছি। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল যে দল জিতবে। সেটাই হয়েছে।’

আরেক তরুণ ডিফেন্ডার নুরুল নাইম ফয়সাল চ্যালেঞ্জ নিয়ে আবাহনীতে এসেছেন। পাখির চোখ করেছিলেন ফাইনালকে। তাই তো জয়ের পর খুশিতে আত্মহারা এই ফুটবলার, ‘বসুন্ধরা থেকে চলে আসার পর আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। স্বাধীনতা কাপে ফাইনালে আবার প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা। তাই ফাইনাল জেতাটা আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণও ছিল। বাড়তি তাড়নাও কাজ করেছে। ওখানে ৫টি ট্রফি জিতেছি, কিন্তু আবাহনী অনেক দিন ধরে ট্রফি জেতেনি। এখন ট্রফি জেতায় সবাই খুশি।’

স্বাধীনতা কাপ জিতে আবাহনী এখন আরও উজ্জীবিত। তাই দৃষ্টিটাও যাচ্ছে বহুদূর। জিততে চাইছে আসন্ন ফেডারেশন কাপের ট্রফি। সেই লক্ষ্যে কাল সোমবার থেকেই অনুশীলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে মারিও লেমসের দল।

/টিএ/এফআইআর/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সরকারি জমিতে সস্তায় ফ্ল্যাট, দুদকের অভিযান
সরকারি জমিতে সস্তায় ফ্ল্যাট, দুদকের অভিযান
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সোমবার থেকে হবে করোনা পরীক্ষা
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সোমবার থেকে হবে করোনা পরীক্ষা
সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
সিলেটের ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
ডাবের পানি খেলে যেসব উপকার পাবেন
ডাবের পানি খেলে যেসব উপকার পাবেন
সর্বাধিক পঠিত
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা
কক্সবাজারে হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক
কক্সবাজারে হোটেল থেকে ৪৮ তরুণ-তরুণী আটক
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হঠাৎ উত্তাপ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হঠাৎ উত্তাপ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
তাণ্ডব: প্রশ্নবিদ্ধ এক ছবি, রেটিং ৬/১০
সিনেমা সমালোচনাতাণ্ডব: প্রশ্নবিদ্ধ এক ছবি, রেটিং ৬/১০
কী আছে শ্রমিকদের ভাগ্যে, কোন পথে আন্দোলন?
কী আছে শ্রমিকদের ভাগ্যে, কোন পথে আন্দোলন?